সুনামগঞ্জ পৌরশহরে চার বছরের এক শিশুকে মাথায় উপর্যুপরি পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার দুপুরে পৌরশহরের গুজাউড়া হাছননগরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলের পাশের সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই ঘটনা ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ওই শিশুর নাম এনামুল হক মুসা (তালহা)। সে গুজাউড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে। অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম আব্দুল হালিম (৩০)। তার বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশু তালহা আজ দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে খেলছিল। এ সময় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল হালিম প্রথমে তালহাকে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর একটি ভারী পাথর দিয়ে তালহার মাথায় পাঁচ-ছয়বার আঘাত করে। এতে শিশুটির মাথা থেঁতলে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মেটারসাইকেল আরোহীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে তালহাকে উদ্ধার করে। উপস্থিত জনতা আঘাতকারী যুবককে আটক করে এবং পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুতর আহত শিশুটিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনিত হলে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু আজ বিকেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুটির মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার আত্মীয় স্বজনের কান্নায় আকাশ -বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। শিশুটির পিতা-মাতা সন্তানের শোকে বার-বার মোর্চা যাচ্ছে। এমন ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুর এমন মর্মান্তিক মৃত্যু তারা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. শহীদুর রহমান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। পাশের একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘটনাটি ধরা পড়েছে। তিনি জানান আমার খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছ।
