এবার বিজয়নগরে জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটক, চাঁদা দাবীর অভিযোগ

এবার বিজয়নগরে জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটক, চাঁদা দাবীর অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হাসান জাবেদ


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও থানার সিসি ছাড়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নামে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টার সময় এএসআই জিলানী নামে এক পুলিশ অফিসার আটক হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনটাই অভিযোগ।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার আমতলী উত্তর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ওই পুলিশ অফিসার আটক করতে যাওয়া ব্যক্তির কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় পুলিশ অফিসার কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেননি।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার আব্দুল্লাহ পুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহমেদ তার পরিবার নিয়ে আমতলী থাকেন। সেখানে তাদের ওয়ার্কশপের ব্যবসা আছে।

শনিবার রাতে সেই ওয়ার্কশপে গিয়ে এএসআই জিলানী মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আহমেদের ছেলে পলাশ মিয়াকে জাপটে ধরে নিয়ে যেতে চাইছিলো। তখন সাধারণ জনতা পুলিশ পরিচয় দেওয়া জিলানীকে আটক করে। পরে পলাশের পরিবারের লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করলে বিজয়নগর থানার পুলিশ গিয়ে এএসআই জিলানীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী পলাশের ভাই ফয়সাল জানান, এএসআই জিলানী কোন ফোর্স ছাড়া সিএনজি দিয়ে একা এসে আমার ভাইকে ধরে নিয় যেতে চাইছিলো। এসময় পলাশকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে এএসআই জিলানী। সে ইউনিফর্মের একটি শার্ট পরে এসেছিল। তার পোশাকে কোন নেমপ্লেট ছিলোনা।

এসময় পুলিশ অফিসার কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখাতে পারেননি। পরে জরুরী সেবাতে ফোন করে অভিযোগ করা হলে বিজয়নগর থানা থেকে পুলিশ এসে জিলানীকে নিয়ে যায়। এবং সে বিজয়নগর থানায় কর্মরত আছেন বলে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন। তার বিরুদ্ধে রোববার মামলা করা হবে।

এবিষয়ে বক্তব্য জানতে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন