জগন্নাথপুর এর জগদীশপুর ব্রীজ পুনঃনির্মাণ এর দাবী

জগন্নাথপুর এর জগদীশপুর ব্রীজ পুনঃনির্মাণ এর দাবী

মোঃ হুমায়ুন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুর – তেলিকোনা সড়ক এর জগদীশপুর ব্রীজটি দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজ এর উপর দিয়ে যাত্রী সাধারণ চলাচল করছেন। যেকোনো মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদায় ব্রীজটি দ্রুততার সহিত পুনঃনির্মাণ এর জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর এর সাথে সংযোগ স্থাপনকারী  জগন্নাথপুর -তেলিকোনা সড়ক এর জগদীশপুর গ্রাম এলাকায় বড়খাল এর উপর দীর্ঘ প্রায় ৩৫/৪০ বছর পূর্বে নির্মিত জগদীশপুর ব্রীজটি যানবাহন চলাচল এর ক্ষেত্রে প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এই সড়ক দিয়ে  প্রতিনিয়ত দিরাই ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সহ জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন এর শত শত যাত্রী সাধারণ জীবন জীবিকার তাগিদে জীবন এর ঝুঁকি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহর, জগন্নাথপুর উপজেলা সদর ও বিভাগীয় শহর সিলেটে প্রতিনিয়ত যানবাহনে চলাচল করে আসছেন।

এমনকি স্কুল – কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করছেন। যেকোনো মুহুর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। ২৮ শে ডিসেম্বর রোজ সোমবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এই ব্রীজটির উভয় পার্শ্বের এ্যপ্রোচ এর মাটি ভেঙে এ্যপ্রোচ সরু হয়ে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালকরা যাত্রী সাধারণ নিয়ে যানবাহন চালাচ্ছেন। এ হেমন্তকালে ব্রীজের এ্যাপ্রোচ এর অবস্থা কিছুটা ভাল দেখালেও বর্ষা মৌসুমে অবস্থা নাজুক হয়ে দেখা দেয়।


এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালক চন্দন, গুলজার সহ একাধিক চালক বলেন, জগদীশপুর ব্রীজ এর এ্যাপ্রোচ ভাঙ্গনে ছোট হয়ে পড়েছে। একটু এদিক সেদিক হলে আর রক্ষা নেই একেবারে খাদে। কি আর করব পরিবার এর অন্ন-বস্ত্র যোগানের তাগিদে জীবন এর ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রীজ (জগীশপুর ব্রীজ)  এর উপর দিয়ে যাত্রী নিয়ে গাড়ী চালাচ্ছি।


এই সড়ক দিয়ে যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ  ও অত্র এলাকার একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, জীবন জীবিকার তাগিদে এই সড়ক দিয়ে  ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে চলাচল করছি। যানবাহন জগদীশপুর ব্রীজ এলাকায় আসা মাত্রই হতাশ হয়ে পড়ি। এই বুঝি দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, হেমন্তকাল যেমন তেমন, বর্ষা মৌসুমে যত অসুবিধা। একটু বৃষ্টি- বাদল হলেই ঘনঘন  এ্যাপ্রোচে ভাঙ্গন দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোড়াতালি দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ হয়।

ব্রীজটি চালু হওয়ার পর থেকেই  প্রতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন দেখা দিলেও স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসছেনা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশংকা সর্বদা বিরাজমান।  বিদায় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে এই ব্রীজটি পুনঃনির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্ট কামনা করছেন সচেতন মহল।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলাম সারোয়ার বলেন, জগদীশপুর ব্রীজ এর স্কীম তৈরী করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরন করেছি। 

আপনি আরও পড়তে পারেন