টাঙ্গাইলে নাগরপুরে হারুনের হাতে ‘রঙিন’ স্কুল

টাঙ্গাইলে নাগরপুরে হারুনের হাতে ‘রঙিন’ স্কুল

মোঃ আল-আমিন শেখ টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:-


স্কুল ভবনের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, বর্ণমালা। মাঠের একপাশে বাংলাদেশের মানচিত্র। আঁকা হয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনও। আরো আছে ‘ছাদ বাগান’।

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার বারাপুষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে এমন দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছেন বিদ্যালয়টির দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী হারুন অর রশিদ। করোনার ছুটির পুরো সময়টা তিনি এ কাজে ব্যয় করেছেন। এতে বিদ্যালয়সংশ্লিষ্টরাসহ এলাকাবাসী খুবই খুশি।

স্থানীয়রা জানান, হারুন বেশি পড়ালেখা করতে পারেননি। আঁকাআঁকিও শেখেননি কারো কাছে। কিন্তু তাঁর ইচ্ছাশক্তিই তাঁকে ‘শিল্পী’ বানিয়েছে। তিনি তাঁর কর্মস্থলকে শুধু আগলেই রাখছেন না, সুন্দর করে সাজিয়েও তুলেছেন। এটি করেছেন ভালোবাসা থেকে।

হারুনও জানালেন, তাঁর একটি স্বপ্ন আছে। এই বিদ্যালয়টি একদিন দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। তিনি বলেন, ‘আমি স্কুলকে ভালোবাসি, আমার গ্রামকে ভালোবাসি। স্কুলের এ সুন্দর সুন্দর জিনিস দেখে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা আগ্রহী হয়ে স্কুলে ভর্তি হবে।

তাই আমি এসব করি।’ তাঁর কাজে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামানসহ অন্যরা উৎসাহ দিচ্ছেন। আর্থিক সহযোগিতাও রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে সরকারি বরাদ্দ থেকেও কিছু অর্থ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে বলে জানান হারুন।

বারাপুষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘হারুন সব কাজেই খুব পারদর্শী। অনেক গুণ রয়েছে ওর। কারুকাজের শিক্ষা না নিয়েও সে চমৎকার করে বিদ্যালয়কে সাজিয়ে তুলছে। সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান, অথচ তার মনটা খুব ধনী। ওর কাজে সবাই খুশি।

’প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও বিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে হারুন মনের মাধুরী মিশিয়ে কাজগুলো করেছেন বলে মন্তব্য করলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার জি এম ফুয়াদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘হারুন অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পেরেছে।’ উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা হারুনের কাজ দেখে উচ্ছ্বসিত বলে জানান তিনি। 

আপনি আরও পড়তে পারেন