ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী: বোনের ভাসুর মাদরাসা শিক্ষকের দায় স্বীকার

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী: বোনের ভাসুর মাদরাসা শিক্ষকের দায় স্বীকার

সুনামগঞ্জের ছাতকে ধর্ষণের শিকার এতিম কিশোরী (১৩) অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় গ্রেফতার মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ সোলেমান আলী (৩০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দীনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। 

হাফেজ সোলেমান আলী ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের জাতুয়া গ্রামের কারি আপ্তাব আলীর ছেলে ও অন্তঃসত্ত্বা হওয়া কিশোরীর বড় বোনের ভাসুর। তিনি হবিগঞ্জের একটি মাদরসায় শিক্ষকতা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ নভেম্বর ওই স্কুলছাত্রী তার আপন বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ওই দিন রাতে বড় বোনের ভাসুর সোলেমান মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে লাগাতার কয়েকদিন ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। গ্রামের লোকজনের চাপে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তির আশ্বাস দেয় হাফেজ সোলেমান আলী। কিন্তু নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে একপর্যায়ে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় সোলেমানের পরিবার। 

এ ঘটনায় গেলো ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত হাফেজ সোলেমান আলীর বিরুদ্ধে ছাতক থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বড় বোন। এরপর ২৭ জানুয়ারি বুধবার সকালে ছাতক থানা পুলিশ অভিযুক্ত হাফেজ সোলেমান আলীকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে জানিয়েছেন ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন