দ্রুত গতিতে চলছে স্বধীনতা সড়কের নির্মাণ কাজ।

দ্রুত গতিতে চলছে স্বধীনতা সড়কের নির্মাণ কাজ।

হাসানুজ্জামান,মেহেরপুরঃ

স্বাধীনতার সূতিকাগার মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্মান হচ্ছে মুজিবনগর-কলকাতা ‘স্বাধীনতা সড়ক’। এলজিইডির অধীনে এক কোটি চার লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নির্মাণ কাজ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় চার নেতাসহ প্রথম সরকারের শপথ নিতে মুজিবনগরের আম্রকাননে এসেছিলেন এই ঐতিহাসিক পথ দিয়েই। জাতীয় চার নেতার সাথে এই ঐতিহাসিক সড়ক ধরে এসেছিলেন অসংখ্য বিদেশি সংবাদকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা।২৬ মার্চ উদ্বোধনের লক্ষ্যে বেশ দ্রæত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে সড়ক নির্মাণ কাজ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর।ফেব্রুয়ারী শেষের দিকে অথবা মার্চের প্রথম দিকে রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন ঠিকাদার শাহাবাজ উদ্দিন।

২৬ মার্চ উদ্বোধনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশের অংশে খুব দ্রুত গতিতেই কাজ চলছে।মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর পর্যন্ত দেড় কিলো মিটার সড়কের প্রায় ৩শ মিটার ইটের সোলিং করা রাস্তা রয়েছে রয়েছে বাংলাদেশ অংশে। এই ৩শ মিটার সড়ক পাকা-করণের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও মুজিবনগর ইমিগ্রেশন ও কাস্টম চেকপোস্ট স্থাপনের কাজও চলমান। এই সড়ক বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন দু-দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, তেমনি মেহেরপুরবাসীর জন্য উন্মোচিত হবে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত। বিশেষ করে মুজিবনগর সীমান্ত এলাকার মানুষের জন্য খুলবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার।সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে এই এলাকার মানুষ। কৃষিনির্ভর এই এলাকার অর্থনীতির ম‚ল উৎস হলো কৃষি।

শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও কম না। তাই স্বাধীনতা সড়ককে ঘিরে একগুচ্ছ কর্মসংস্থানের স্বপ্ন দেখছেন এই এলাকার বেকাররা। এটিকে ঘিরেই নতুন দিগন্তের সম্ভাবনা দেখছেন মেহেরপুরের মানুষ।স্বাধীনতা সড়ক লাগুয়া বাড়ি ছাবদার আলী (৬৫), জাতীয় চার নেতার আগমনের সাক্ষী তিনি। ছাবদার বলেন, আমরা কখনো ভাবিনি এখান দিয়ে সড়ক হবে। এখন সেটি হচ্ছে দেখে খুবই ভাল লাগছে। নতুন ইতিহাস হচ্ছে।মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই স্বাধীনতা সড়ক বাস্তবায়িত হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পরে হলেও উন্নয়নের আলো জ্বলতে যাচ্ছে আমাদের এলাকায়। এই সড়ককে ঘিরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন তারা।

মেহেরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার বলেন, কাস্টমসসহ অন্যান্য দফতরগুলো এখানে কাজ করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে সড়কটি উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান বলেন, সড়কটি বাস্তবায়িত হলে সেবা খাতের উন্নতি ঘটবে। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শুধু মাত্র এলাকার মানুষের কৃষি খাতের উপর যে নির্ভরতা। সেটাতো কমবেই সেই সাথে বহুমুখী অর্থনীতির রূপান্তর ঘটবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন