কেরানীগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৫ লাখ টাকা ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৫ লাখ টাকা ডাকাতি

বিশেষ প্রতিনিধি

 

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আব্দুল্লাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওসমান মোল্লা
বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক আব্দুলাপুর শাখা থেকে নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজে
জন্য পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ঘেরাও করে অস্ত্র মামলার আসামী বলে হাতে হেনকাফ পড়িয়ে ৬থেকে ৭ জন ডাকাত একটি সাদা মাইক্রোবাসে এ ফিল্মিস্টাইলে আমাকে তুলে নেয়। পরবর্তীতে কোনাখোলা সড়কে নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাঁচ লাখ টাকাসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।

 

গত জানুয়ারি মাসে কেরানীগঞ্জের আব্দুলাপুর বাজারের মা জুয়েলার্সের মালিক গৌতম ঘোষ বাসা থেকে দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় একটি হাইস গাড়ি এসে থামে তার সামনে। গাড়ি থেকে ৫ জন বেরিয়ে নিজেদের ডিবি পরিচয় দেন। একজনের গায়ে ডিবির জ্যাকেট ও ওয়াকিটকি ছিল। গৌতম ঘোষকে এক প্রকার জোর করে গাড়িতে তুলে নেয় তারা। এরপর গাড়িতে তাকে নিয়ে একবার পোস্তগোলা আরেকবার মাওয়া এভাবে ঘুরতে থাকে।

এ সময় গাড়ির ভেতর গৌতমকে মারধর করা হয়। তার কাছে থাকা টাকা ও জুয়েলার্সের জন্য নিয়ে আসা কয়েক লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার কেড়ে নিয়ে নিমতলী এলাকায় ফেলে যায় ভুয়া ডিবির দল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে সক্রিয় ভুয়া ডিবি চক্র কখনো প্রাইভেটকারে যাত্রী তুলে ডাকাতি করছে, আবার কখনো ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তুলে নিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে।মহাসড়কে পুলিশ টহল দিলেও ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

তারা আরও জানান,ডাকাতি শিকার হলে একেতো জিনিস পাওয়া যায় না তার ওপর আবার শুধু শুধু হয়রানি আর ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই থানা পুলিশকে আর কেউ অবগত করার আগ্রহ দেখায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, আমরা মহাসড়কটি নিরাপদ রাখতে নিয়মিত টহলের ব্যাবস্থা রেখেছি। আমাদের টহল পুলিশ দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।বিভিন্ন অভিযানে ডাকাতদের আটক করা হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মহাসড়কে নিরাপদ রাখতে।

আপনি আরও পড়তে পারেন