এলএসডি-স্কুফের পর পাওয়া গেল ভয়ঙ্কর মাদক ডিএমটি

এলএসডি-স্কুফের পর পাওয়া গেল ভয়ঙ্কর মাদক ডিএমটি

উন্নত রাষ্ট্র থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে ঢুকছে এসব মাদক

এলএসডি, স্কুফের পর এবার দেশে পাওয়া গেল আরেক ভয়ঙ্কর মাদক ডাইমিথাইল ট্রিপ্টামাইটিন, সংক্ষেপে যার নাম ডিএমটি। বিদেশ ফেরত দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ তরুণের কাছ উদ্ধার করা হয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে নিষিদ্ধ এই মাদক। গ্রেফতারকৃতরা বলছে, পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস থেকে বাংলাদেশ আসতো ডিএমটি।

দেশে একের পর এক নতুন নতুন মাদকের সন্ধান পাওয়ায় বোঝা যায় মাদকের বিস্তার দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন নতুন নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ। এলএসডির পর এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে আরও এক নতুন ধরনের মাদক পাওয়া গেল দেশে।

রোববার (২৭ জুন) সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটি নামে হ্যালুসিনেজেনিক এই মাদক সম্পর্কে বিস্তারিত জানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব-২ এর সিইও লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, অত্যন্ত নতুন একটা মাদক (ডিএমটি)। সেটার সম্পর্কে এখনও আমরা কোনো ধারণা পাইনি। এটা ধরা পড়ার পর আমরা এ বিষয়ে জানতে পেরেছি। এটার নাম ডিএমটি, এটা মুলত নেদারল্যান্ডস বা বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশ থেকে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ মাদকটির উচ্চমূল্য হওয়ায় মূলত এর গ্রাহক উচ্চবিত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

এই মাদক নেওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হ্যালুসিনেশন, রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যা পরবর্তীতে ব্যবহারকারীকে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়।

খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, মুখে এলএসডি যেভাবে সেবন করে বা সিগারেটের সাথে ধোঁয়া সেবন এমনকি ইনজেকশনের মাধ্যমেও এটা সেবন করে থাকে। এটা সেবনের পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট গভীর আসক্তি তৈরি হয়। এসময় সেবনকারী কল্পনার জগতে প্রবেশ করে, এ থেকে বিভিন্ন দুর্ঘটনা এমনকি জীবন নাশও হতে পারে।

শনিবার রাতে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব- ২ এর বিশেষ টিমের অভিযানে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইয়ান স্পোর্টিং ক্লাব থেকে ৪ তরুণের কাছে মেলে ৬শ’ মিলিগ্রাম ডিএমটি। পাওয়া যায় ৪০ বল্ট এলএসডি, ৬২ গ্রাম আমেরিকান ক্যানাবিজসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামও। আটককৃতদের মধ্যে ২ জন বিদেশ ফেরত শিক্ষার্থী ও ২ জন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও নেদারল্যান্ডস থেকে ডাক যোগে এই মাদক দেশে ঢুকতো।

সম্প্রতি বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে দেশে মাদকের বিস্তার ঘটায় অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। 

আপনি আরও পড়তে পারেন