মিঠামইনে আগ্রহ বেড়েছে সূর্যমুখী ফুল চাষে

মিঠামইনে আগ্রহ বেড়েছে সূর্যমুখী ফুল চাষে
মাহফুজ রাজা,জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ;
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ। উৎপাদন খরচ কম ও বীজের চাহিদা থাকায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন সূর্যমুখী আবাদে। উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, চলতি বছর উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে, অথচ আগে হতো না। এবার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকেরাও খুশি।
মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুরসহ কয়েকটি এলাকায় গেলে দেখা যায় মনোমুগ্ধকর সূর্যমুখী ফুলের মাঠ। দূর থেকে দেখলে মনে হয় হলুদ গালিচা পেতে রেখেছে কেউ। সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তৈরি তেল বাজারের অন্যান্য তেলের চেয়ে ভালোমানের। তেলের দাম বেশি। তাই কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।
এ ফুলের সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে হাওরে ঘুরতে আসা পর্যটক আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে শুধু বর্ষাকালে হাওরে নৌকায় চড়ে পানির সৌন্দর্য দেখতে আসতাম। এখন চোখজুড়ানো পাকা সড়ক নির্মাণ হয়েছে। তাই শুকনো মৌসুমেও আমরা হাওরে সবুজের সমারোহ দেখতে আসি। এ বছর সবুজের মাঝে হলুদের গালিচা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।
উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের কৃষক আলাল উদ্দিন বলেন, ‘হাওরে ছয় মাস পানি থাকে এবং বাকি ছয় মাসে শুধু বোরো আবাদ করি আমরা। কৃষি অফিস সূর্যমুখী ফুল চাষে পরামর্শ দিচ্ছে গত বছর ধরে। তাঁদের পরামর্শে চলতি বছর চাষ করলাম। বোরোর চেয়ে সূর্যমুখী চাষে খরচ কম আর লাভ বেশি, ফলনও ভালো হয়েছে।’
একই এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘হাওরে সূর্যমুখীর ফলন হবে, আমরা ভাবতেও পারিনি। ফলন দেখে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমরাও চাষ করব।’
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘চলতি বছর উপজেলায় ১০০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর বীজ থেকে ভোজ্যতেল ও গাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা মিটবে। আমরা সরেজমিন কৃষকদের পাশে থেকে এ ফসলটি আবাদ করতে উৎসাহ ও পরামর্শ দিচ্ছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাফিউল ইসলাম বলেন, ভিন্ন ভিন্ন ফসল আবাদে হাওরের কৃষকদের অভ্যস্ত করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ও কীটনাশক কম লাগে। খুব বেশি পরিচর্যাও করতে হয় না।

আপনি আরও পড়তে পারেন