জেনে শুনে করছি বিষ পান’

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জেনে শুনে বিষ পান করছি।’

জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারবে না তারপরও মনে করে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি শুধু আমাদের না, সারাদেশের মানুষের আস্থা নেই। তারপরও আমরা জেনে শুনে বিষ পান করছি। কারণ আপনাদের মুখ রক্ষা করার জন্য। নির্বাচনে গেলেও সমালোচনা হয় না গেলেও সমালোচনা হয়। সে কারণে সবাই প্রত্যক্ষ করেন এই নির্বাচন কমিশনের শেষ পর্যন্ত। তারা কি করে এবং একটা সময় আসবে সকলে যখন মুখ ফিরিয়ে নেবেন তখন আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং কোনো নির্বাচনে যাবো না।

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই ক্ষীণ সন্দেহ, গেলে বোধ হয় এবার একটু অন্যরকম হতো। ওই জাতীয় নির্বাচনের যা হয়েছে এ নির্বাচনে হয়তো ওটা করত না। কুকুরের লেজ সোজা হয় না কোনদিন। এ নির্বাচন কমিশনের লেজ ও সোজা হবে না।

দুই সিটিতে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ইভিএম অনেক আগে আবিষ্কার হয়েছে । বিশ্ব থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে হাকডাক উঠছে ইভিএমে সহজে কারচুপি সম্ভব। তারা ইভিএম পরিত্যাগ করছে।আর আমরা এটিএম ব্যবহার করছি ।সাধারণ মানুষের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। এটা নতুন প্রযুক্তি । এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সম্যক ধারণা নেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার উনি জেদ করছেন যে ইভিএম জনগণকে গিলাবেন। সুতরাং একটা নির্বাচন কমিশন যখন জনগণের ইচ্ছার বাইরে জেদ করে চাপিয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে এই ইভিএম এর পিছনে অনেক রহস্য আছে।

সিটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো আবহ তৈরি হয়নি। সেটা হতে পারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, এই ফর্ম বেচাকেনা- নেওয়া জমা দেওয়া এইটা। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন আগ্রহ ফিরে আসেনি। কারণটা হলো জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারে না সেহেতু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি।

এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাসের সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহসভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন