গুগলের দেয়া তথ্যে ২ শিশু যৌন নিপীড়ক গ্রেফতার

গুগলের দেয়া তথ্যে ২ শিশু যৌন নিপীড়ক গ্রেফতার

গুগলের দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের দুই শিশু যৌন নিপীড়ককে। সিআইডির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে এরকম ২৩ হাজার কনটেন্ট জমা পড়েছে সিআইডির নথিতে। তবে সবই যে অপরাধ এমনটা নাও হতে পারে। কনটেন্টগুলো যাচাই বাছাই করে সুনির্দিষ্ট অপরাধগুলো নিয়ে কাজ করবে সিআইডি।

বরিশালে এক যুবকের মোবাইলে একটি শিশুকে যৌন নিপীড়নের ভিডিও আছে। ওই মোবাইল দিয়েই তা ধারণ করা হয়। ইন্টারনেট সংযুক্ত সেই মোবাইল ট্র্যাক করে সেই ভিডিও দেখতে পায় সার্চ ইঞ্জিন গুগল। এরপর সেই তথ্য জানানো হয় সিআইডিকে। সিআইডি গ্রেফতার করে মোবাইল মালিক যুবককে।

একইভাবে দেশের অন্য একটি জেলা থেকেও গ্রেফতার করা হয় আরো এক যুবককে। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের সিআইডি চুক্তি করে ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন-এনসিএমইসি নামের একটি সংস্থার সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটি শিশু পর্নোগ্রাফি ও শিশুদের ওপর যৌন নিপীড়ন বন্ধে কাজ করে।

গুগলের মতো অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো শিশু নিপীড়নের তথ্য জানায় ওই সংস্থাকে। আর ওই সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট দেশের সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানিয়ে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গত তিন মাসে ২৩ হাজার ১৪৩টি এমন কনটেন্ট যুক্ত হয়েছে সিআইডিতে।

এই বিষয়টি নিয়ে সময় সংবাদের প্রতিবেদক কথা বলতে যান সিআইডির বিশেষ সুপারের সঙ্গে। কিন্তু তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তবে গুগলের তথ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান যে করা হয়েছে, সেটি জানিয়ে তিনি বলেন, ডিভাইস ব্যবহার করে অপরাধ করলে তা কোথাও না কোথাও রয়েই যায়।

সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, ডিজিটাল জগৎ ও সাইবার স্পেসে কোন কিছু লুকানো থাকে না। কেননা সবকিছু মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। আজকে যে ছবিটা ম্যাসেঞ্জারে পাঠানো হলে সেটা ডিলিট করা হলেও ডিলিট হয় না।

সিআইডির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্তান যাতে নিপীড়ক না হয় সেই নজরদারি আগে পরিবারেরই নেওয়া উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল করিম বলেন, যেকোনো শিক্ষা ও সমাজ থেকে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পরিবারের। কেননা পরিবারের সঙ্গে সন্তানরা সম্পৃক্ত। সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, এগুলো পরিবারের জানা প্রয়োজন।

তারা আরো বলছেন, মানুষের বেড়ে ওঠা যাতে সুস্থ হয়, সেই বিষয়ে রাষ্ট্র পরিবারসহ দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে সমাজের সকল অংশকে।

আপনি আরও পড়তে পারেন