হোসেনপুরে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে, চারদিকে শোভাশিত ঘ্রাণ

হোসেনপুরে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে, চারদিকে শোভাশিত ঘ্রাণ
মাহফুজ হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:
জুঁই,চামেলি নহে বকুল!
ঠিক যেন কানদুল!!
চতুষ্পার্শ্ব ঘ্রাণে করেছে আকুল,
সেতো, সোনার বাঙলার ফলের রাজা
আমের-ই মুকুল।
মাহফুজ রাজা,র আম্রকুঞ্জ কবিতার এ পঙক্তিগুলি যেন একাকার হয়ে আছে  গ্রাম্য প্রকৃতির সাথে পবনে ভেসে চলেছে আমের মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ চলতি মৌসুমে গাছে গাছে আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। কোনো গাছে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে, আবার কোনটিতে মুকুলের হাতছানি দিচ্ছে। তবে অধিকাংশ গাছে মুকুল আসায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে ওই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। গাছে গাছে মৌমাছির গুনগুনিয়ে গানের সুর ও বিভিন্ন পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত আম বাগান। সবুজের ফাঁকে ফাঁকে ডালের আগায় থোকায় থোকায় আমের মুকুলের বাহার। তবে দেশে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে অধিক আমের ফলন হবে বলেও আশা করছেন স্থানীয় আম চাষিরা।
সরেজমিনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বাড়ির উঠোনে, পুকুর পাড়ে, রাস্তার পাশে গাছে গাছে আমের মুকুলে ভরপুর। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে প্রতিটি গাছের ডালপালা।
সিদলা ইউনিয়নের রহিম ও শাহেদল ইউনিয়নের আম চাষি মোস্তফা জানান, তাদের আম গাছে মুকুলে ছেয়ে গেছে। মুকুল আসার পর থেকে প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী গাছের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ১ হেক্টর আম বাগানে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক আম গাছ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, দেশীয় জাতের আম গাছে মুকুল পূর্বে চলে এসেছে। তবে বিভিন্ন রোগ-বালাই থেকে আম সুরক্ষার জন্য ঔষধ ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলেও জানান তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন