কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলাম এবং মুসলমানের পরিচয়।

কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলাম এবং মুসলমানের পরিচয়।

হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী:কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলাম এবং  মুসলমানের পরিচয়। ইসলাম কী? : ইসলাম শব্দের অর্থ- আত্মসমর্পণ করা। অর্থাৎ পূর্ণাঙ্গরূপে কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন পরিচালনার জন্য আত্মা তথা মনকে সমর্পণ করা। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য ধর্ম মানেই ইসলাম। অন্য কোনো ধর্মের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভ করা অসম্ভব। এরশাদ হচ্ছে-‘আল্লাহর কাছে মনোনীত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৯)। ইসলামের উপমা: ইসলাম হলো একটি তাবুর ন্যায়। তাবু যেমন তার ভেতরের মানুষকে রোদের সময় রোদ, শীতের সময় ঠান্ডা, প্রচন্ড বাতাসের সময় ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে, তদ্রুপ ইসলাম…

বিস্তারিত

অজু করার সময় কথা বলা যাবে কি?

অজু করার সময় কথা বলা যাবে কি?

অজু করার সময় কথা বললে অসুবিধা হবে কি?— এমন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে। মূলত অজুর সময় কথা বলা জায়েজ, অজুর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর বান্দা যখন একসঙ্গে দুটি কাজ করতে যাবে, তখন কোথাও ভুল হতেই পারে। এ জন্য কেউ কেউ মনে করেন যে, অজু করার সময় কথা না বলাই ভালো। এছাড়া অজুর সময় কোনো কথা বললে অজু নষ্ট হয়ে যাবে— এই মর্মে হাদিসে কোনো বক্তব্য নেই। ফলে অজুর সময় আপনি কথা বলতে পারেন, কথা বলা জায়েজ রয়েছে। অজুর সময় যেসব কাজ করা মাকরুহ অজুতে কিছু কাজ করা…

বিস্তারিত

অজুর পর চুল কেটে নামাজ পড়া যাবে কি?

অজুর পর চুল কেটে নামাজ পড়া যাবে কি?

একদিন চুল ছাঁটার জন্য বাজারে যাই। সেলুন থেকে চুল ছেঁটে ফেরার পথে এক মসজিদে ইকামতের আওয়াজ শুনে জামাতে শরীক হই। অজু ছিল বিধায় দ্বিতীয়বার অজুর প্রয়োজন মনে করিনি। কিন্তু পরে সন্দেহ হলো যে, নামাজের আগে অজু করার সময় যেই চুলের উপর মাসেহ করেছিলাম তা তো নেই। চুল ছাঁটার দ্বারা আমার মাসেহ ভেঙ্গে গেল কি না, এ নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে আছি। মুহতারামের কাছে জানতে চাই, চুল ছাঁটা বা মাথা মুণ্ডানোর দ্বারা কি মাসেহ ভেঙে যায়? জানালে উপকৃত হব। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- অজু করার পর চুল ছাঁটা বা মাথা মুণ্ডানোর দ্বারা মাসেহ বাতিল হয়ে যায়…

বিস্তারিত

অজুর সময় পুরো মাথা মাসেহ করতে হবে কি?

অজুর সময় পুরো মাথা মাসেহ করতে হবে কি?

আমি অজুর মধ্যে সাধারণত পূর্ণ মাথা মাসাহ করি। একদিন তাড়াহুড়োর কারণে পূর্ণ মাথা মাসেহ করতে পারিনি। মোটামুটি অর্ধেকের মতো করেছি। মুহাতারামের কাছে জানার বিয়ষ হলো- অর্ধেক মাথা মাসাহ করলে কি অজু হবে? জানালে উপকৃত হব। এর উত্তর হলো- হ্যাঁ, অর্ধেক মাথা মাসাহ করলেও মাসাহের ফরজ আদায় হয়ে যায়। তাই আপনার অজু সহিহ হয়েছে। তবে সুন্নত হলো- পূর্ণ মাথা মাসাহ করা। উল্লেখ্য, সুন্নত ও মুস্তাহাবের প্রতি খেয়াল রেখে ধীরস্থিরভাবে অজু করা উচিত। কেননা বহু হাদিসে পরিপূর্ণভাবে অজু করা এবং সুন্দরভাবে অজু করার প্রতি তাগিদ এসেছে এবং এর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর…

বিস্তারিত

কুমিল্লায় কোরআন রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কুমিল্লায় কোরআন রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।  বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব‍্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। কুমিল্লার ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কবে জনসম্মুখে আনা হবে বা এ ঘটনার সর্বশেষ আপডেট কী- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ী ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। কুমিল্লা মাজারের সঙ্গে যে মসজিদ, সেটা প্রসিদ্ধ মসজিদ। লোকটি (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে) রাত তিনটার দিকে কয়েকবার…

বিস্তারিত

প্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয় যে পাহাড়ে

প্রথম কোরআন অবতীর্ণ হয় যে পাহাড়ে

জাবালে নুর বা নুর পর্বত। এই পাহাড়ের একটি ‍বিশেষ স্থান গারে হেরা বা ‘হেরা গুহা’। যেখান থেকে সারা বিশ্ব মানবতার জন্য আলোর বার্তা নিয়ে এসেছিলেন— মহানবী (সা.)। এই গুহায় তিনি নবুওয়তের আগে ধ্যানমগ্ন থাকতেন। একদিন আচমকা হজরত জিবরিল (আ.) ওহি নিয়ে তার কাছে আসেন। সেখানে নবী করিম (সা.) নবুওয়ত প্রাপ্ত হন। হেরা গুহা কোথায় অবস্থিত? জাবালে নুরকে বিশ্ববাসী হেরা গুহার নামে চেনে। সবার কাছে এই পাহাড় হেরা গুহা নামে পরিচিত। এই পাহাড় মসজিদে হারাম থেকে দুই মাইল দূরে অবস্থিত। জাবালে নুরে অবস্থিত হেরা গুহাটি দৈর্ঘ্যে ১২ ফুট ও প্রস্থে ৫…

বিস্তারিত

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা যাবে কি?

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা যাবে কি?

অনেকে জানেন না যে, অজু ছাড়া পবিত্র কোরআন স্পর্শ করা যায় কিনা? কিংবা অপবিত্র অবস্থায় কোরআন শরিফ স্পর্শ করতে শরিয়তের নিষেধ আছে কিনা— এমন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পবিত্র কোরআনুল কারিম মহান আল্লাহর বাণী। আল্লাহর কোরআন সর্বাধিক পবিত্র ও সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন। তাই কোরআনের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। যেন কোরআন স্পর্শ করার ও তা পাঠ করার ক্ষেত্রে কোনো অসম্মান প্রকাশ না পায়। বিখ্যাত চার মাজহাবের ইমামদের ফতওয়া এটাই। নবীজি (সা.)-এর সাহাবিগণও এ ফতোয়া দিয়েছেন। ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া…

বিস্তারিত