অজু করার সময় কথা বলা যাবে কি?

অজু করার সময় কথা বলা যাবে কি?

অজু করার সময় কথা বললে অসুবিধা হবে কি?— এমন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে। মূলত অজুর সময় কথা বলা জায়েজ, অজুর কোনো ক্ষতি হবে না। তবে স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহর বান্দা যখন একসঙ্গে দুটি কাজ করতে যাবে, তখন কোথাও ভুল হতেই পারে। এ জন্য কেউ কেউ মনে করেন যে, অজু করার সময় কথা না বলাই ভালো। এছাড়া অজুর সময় কোনো কথা বললে অজু নষ্ট হয়ে যাবে— এই মর্মে হাদিসে কোনো বক্তব্য নেই। ফলে অজুর সময় আপনি কথা বলতে পারেন, কথা বলা জায়েজ রয়েছে। অজুর সময় যেসব কাজ করা মাকরুহ অজুতে কিছু কাজ করা…

বিস্তারিত

অজুর পর চুল কেটে নামাজ পড়া যাবে কি?

অজুর পর চুল কেটে নামাজ পড়া যাবে কি?

একদিন চুল ছাঁটার জন্য বাজারে যাই। সেলুন থেকে চুল ছেঁটে ফেরার পথে এক মসজিদে ইকামতের আওয়াজ শুনে জামাতে শরীক হই। অজু ছিল বিধায় দ্বিতীয়বার অজুর প্রয়োজন মনে করিনি। কিন্তু পরে সন্দেহ হলো যে, নামাজের আগে অজু করার সময় যেই চুলের উপর মাসেহ করেছিলাম তা তো নেই। চুল ছাঁটার দ্বারা আমার মাসেহ ভেঙ্গে গেল কি না, এ নিয়ে বেশ দ্বিধায় পড়ে আছি। মুহতারামের কাছে জানতে চাই, চুল ছাঁটা বা মাথা মুণ্ডানোর দ্বারা কি মাসেহ ভেঙে যায়? জানালে উপকৃত হব। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- অজু করার পর চুল ছাঁটা বা মাথা মুণ্ডানোর দ্বারা মাসেহ বাতিল হয়ে যায়…

বিস্তারিত

অজুর সময় পুরো মাথা মাসেহ করতে হবে কি?

অজুর সময় পুরো মাথা মাসেহ করতে হবে কি?

আমি অজুর মধ্যে সাধারণত পূর্ণ মাথা মাসাহ করি। একদিন তাড়াহুড়োর কারণে পূর্ণ মাথা মাসেহ করতে পারিনি। মোটামুটি অর্ধেকের মতো করেছি। মুহাতারামের কাছে জানার বিয়ষ হলো- অর্ধেক মাথা মাসাহ করলে কি অজু হবে? জানালে উপকৃত হব। এর উত্তর হলো- হ্যাঁ, অর্ধেক মাথা মাসাহ করলেও মাসাহের ফরজ আদায় হয়ে যায়। তাই আপনার অজু সহিহ হয়েছে। তবে সুন্নত হলো- পূর্ণ মাথা মাসাহ করা। উল্লেখ্য, সুন্নত ও মুস্তাহাবের প্রতি খেয়াল রেখে ধীরস্থিরভাবে অজু করা উচিত। কেননা বহু হাদিসে পরিপূর্ণভাবে অজু করা এবং সুন্দরভাবে অজু করার প্রতি তাগিদ এসেছে এবং এর অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর…

বিস্তারিত

অজুর সওয়াব ও ফজিলত

অজুর সওয়াব ও ফজিলত

আল্লাহ তাআলা ইবাদতের জন্য মানুষ ও জিন সৃষ্টি করেছেন। আর ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত হলো নামাজ। হাদিস শরিফে নামাজকে জান্নাতের চাবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই নামাজের পূর্বশর্ত হলো অজু। অজু ছাড়া নামাজ পড়া যায় না। পবিত্র হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামাজ, আর নামাজের চাবি হচ্ছে অজু।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪) সুবহানাল্লাহ, এর ফলাফল দাঁড়ায় জান্নাতের চাবি হলো অজু, যেহেতু অজু ছাড়া নামাজ অগ্রহণযোগ্য। অজুর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, অজু মানুষকে আলোকিত করে। কিয়ামতের দিন…

বিস্তারিত

যেসব কারণে অজু ভাঙে না

যেসব কারণে অজু ভাঙে না

নামাজ আদায়ের জন্য অজু করতে হয়। অজু না থাকলে নামাজ হয় না। তাই নামাজের জন্য অজু আবশ্যক। অজুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। অজু ভাঙার কিছু কারণ রয়েছে। আবার এমন কিছু কারণ আছে, যেগুলো দেখতে মনে হয় যে— অজু ভাঙার কারণ। কিন্তু এগুলোর মাধ্যমে অজু ভঙ্গ হয় না। মোদ্দাকথা, নিম্নল্লিখিত বিষয়গুলোতে অজু ভেঙে যায়, এমন বিষয়ের সাদৃশ্য। কিন্তু তা দ্বারা অজু নষ্ট হয় না। ♦ যদি বমি হয়, কিন্তু তা মুখ ভরে না হয়। (আল আসার লি আবি ইউসুফ : ৩৪) ♦ নিজের লজ্জা স্থান স্পর্শ…

বিস্তারিত

শরীরে রক্ত নিলে কি অজু ভেঙে যায়?

শরীরে রক্ত নিলে কি অজু ভেঙে যায়?

শরীরে রক্ত প্রবেশ করালে অজু ভাঙবে কিনা— এ নিয়ে অনেকের প্রশ্ন আছে। মূলত রক্ত মানুষের মূল্যবান জীবন ও দেহ সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য তরল উপাদান। যেকোনো দুর্ঘটনায় শরীর থেকে রক্ত ঝরে গেলে দেহের অভ্যন্তরে অন্ত্র বা অন্য কোনো অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হলে অস্ত্রোপচারের জন্য রক্তের খুব প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হলো- শরীরে রক্ত নিলে কি অজু ভেঙে যায়? অজু ভাঙার জন্য রক্ত বের হওয়া ও রক্ত প্রবেশ করানো— উভয়টি সমান। সুতরাং যেমনিভাবে রক্ত বের হওয়া— অজু ভঙের কারণ; তেমনিভাবে দেহে রক্ত প্রবেশ করানোর মাধ্যমেও অজু ভেঙে যায়। (আহসানুল ফাতাওয়া :…

বিস্তারিত

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা যাবে কি?

অজু ছাড়া কোরআন স্পর্শ করা যাবে কি?

অনেকে জানেন না যে, অজু ছাড়া পবিত্র কোরআন স্পর্শ করা যায় কিনা? কিংবা অপবিত্র অবস্থায় কোরআন শরিফ স্পর্শ করতে শরিয়তের নিষেধ আছে কিনা— এমন প্রশ্ন করে থাকেন অনেকে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পবিত্র কোরআনুল কারিম মহান আল্লাহর বাণী। আল্লাহর কোরআন সর্বাধিক পবিত্র ও সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন। তাই কোরআনের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য দৈহিক পবিত্রতার শর্তারোপ করা হয়েছে। যেন কোরআন স্পর্শ করার ও তা পাঠ করার ক্ষেত্রে কোনো অসম্মান প্রকাশ না পায়। বিখ্যাত চার মাজহাবের ইমামদের ফতওয়া এটাই। নবীজি (সা.)-এর সাহাবিগণও এ ফতোয়া দিয়েছেন। ইমাম নববি ও ইমাম তাইমিয়া…

বিস্তারিত

যেসব কারণে অজু করলে সওয়াব লাভ হয়

যেসব কারণে অজু করলে সওয়াব লাভ হয়

পবিত্রতা অর্জনের জন্য অজু করা হয়। অজুর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টিও লাভ হয়। এছাড়াও নামাজ আদায়ের জন্য অবশ্যই অজু করতে হয়। অজু না থাকলে নামাজ হয় না। আবার কিছু সময় অজু করা ফরজ, আবার কিছু সময় ওয়াজিব। কখন ফরজ ও ওয়াজিব, সেগুলো আমরা আগে উল্লেখ করেছি। আজকে উল্লেখ করা হবে- যেসব সময় অজু করা মুস্তাহাব। আর এই সময়ে ও এই কারণে অজু করলে আল্লাহ তাআলা সওয়াব দান করেন। ♦ পবিত্রতার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। (বুখারি, হাদিস : ২৩৯) ♦ ঘুম থেকে জাগ্রত হলে। তখন শুধু মুস্তাহাবই নয়, বরং সুন্নাত (সুনানে কুবরা লিল…

বিস্তারিত

অজুর যেসব মাসআলা জেনে রাখা জরুরি

অজুর যেসব মাসআলা জেনে রাখা জরুরি

অজু করার প্রয়োজনীয়তা সর্বোতভাবে প্রযোজ্য। অজু মানে হলো- পবিত্রতা অর্জন। নামাজ পড়ার জন্য অজু আবশ্যক। অজু ছাড়া নামাজ হয় না। কোরআন স্পর্শ করার জন্য অজু শর্ত। অজুর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ মাফ করেন। বিপুল সওয়াব ও পুণ্য দান করেন। অজু করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) অজুতে কোনো স্থান শুষ্ক থাকার ব্যাপারে সাবধান করেছেন। যেন কোনো অঙ্গ শুষ্ক না থাকে। কারণ, শুষ্ক থাকলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে বলে সতর্ক করেছেন। আরও পড়ুন.. অনলাইন শপিং … জেনারেল উইন্ডো এসির দাম ও কোথায় পাবেন বাংলাদেশে ? সনি টিভি অফার…

বিস্তারিত