মৌসুমি ফল খাওয়ার দোয়া

মৌসুমি ফল খাওয়ার দোয়া

নতুন ফল কিংবা মৌসুমের যেকোনো নতুন ফল দেখলে আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি দোয়া পড়তেন। তাই যেকোনো সময় মওসুমের কিংবা সাধারণ নতুন ফল দেখলে বা খেলে উক্ত দোয়া পড়া সুন্নত। নতুন ফল দেখে যে দোয়া পড়া সুন্নত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- সাহাবায়ে কেরাম যখন কোনো নতুন ফল দেখতেন, তখন তারা তা আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর খেদমতে পেশ করতেন। আর তিনি তা গ্রহণ করে এই দোয়া পড়তেন— আরবি : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي ثَمَرِنَا ، وَبَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا ، وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا ،…

বিস্তারিত

খারাপ চরিত্র থেকে বাঁচার দোয়া

খারাপ চরিত্র থেকে বাঁচার দোয়া

ইসলাম বিভিন্ন মন্দ পরিণতি ও শাস্তির কথা উল্লেখ করে অপছন্দনীয় ও নিন্দিত স্বভাব বর্জনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কারণ, ব্যক্তির মন্দ স্বভাব তার জান্নাত হারানোর অন্যতম কারণ। আবার উত্তম চরিত্রের প্রতি অনেক বেশি গুরুত্বারোপ করেছে। বিভিন্ন ফজিলতের ঘোষণা দিয়ে আখলাকে হাসানা বা উত্তম চরিত্র অর্জনে উৎসাহিত করেছে। মন্দ স্বভাবের লোকের জন্য তো একটি হাদিসই যথেষ্ট যে, তার লালিত মন্দ স্বভাব জান্নাতে প্রবেশের অন্যতম বাধা হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুশ্চরিত্র ও রূঢ় স্বভাবের মানুষ জান্নাতে যাবে না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮০১) অতএব, মন্দ অভ্যাস ও দুশ্চরিত্র থেকে বেঁচে থাকার বিকল্প নেই। এ…

বিস্তারিত

দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ

দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ

প্রত্যেক মুসলমান প্রতিদিন কিছু না কিছু আল্লাহ তাআলার কাছে চেয়ে থাকেন। যারা আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তাদের কারও দোয়া কবুল হয়, আবার কারও হয় না। আর দোয়া কবুল না হওয়ার অবশ্যই কোন না কোনো কারণ রয়েছে। অনেক মানুষ আছেন, আল্লাহর কাছে বারবার দোয়া করার পরও প্রত্যাশিত বিষয় না পেলে— দোয়া করা ছেড়ে দেন। হতাশ হয়ে অধৈর্য হয়ে পড়েন। তাদের জানা থাকা দরকার যে, দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে তিনটি বিষয়ের কোনো একটি দিয়ে থাকেন। এক. হয়তো প্রত্যাশিত বিষয়টি দিয়ে দেন। দুই. দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর থেকে সমপর্যায়ের বিপদ দূর করেন। তিন. দোয়ার সওয়াব…

বিস্তারিত

নবীজি যে দোয়া বেশি পড়তেন

নবীজি যে দোয়া বেশি পড়তেন

দোয়া মুমিনের ইবাদত। আবার দোয়া ইবাদতের মগজও বটে। দোয়ার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। যেকোনো কিছু অর্জনে ও বিপদ-আপদ দূরকরণে দোয়ার ভূমিকা অপরীসিম। দোয়া করলে আল্লাহ বান্দার ওপর খুশি হন। প্রাপ্যের চেয়েও বাড়িয়ে দেন। পবিত্র কোরআনে অনেক দোয়া উল্লেখ হয়েছে। এছাড়াও আল্লাহ রাসুল (সা.) অনেক দোয়া শিখিয়েছেন। দোয়াগুলো করলে মুমিন উপকৃত হয়। আল্লাহর রাসুল যেসব দোয়া পড়তেন, সেগুলোর মধ্যে কিছু দোয়া তার প্রিয় ছিল। আবার কিছু দোয়া তার সাহাবিদের বিশেষভাবে শিক্ষা দিয়েছেন। বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি আনাস (রা.)…

বিস্তারিত

সালাম ফেরানোর পর যে দোয়া পড়বেন

সালাম ফেরানোর পর যে দোয়া পড়বেন

নামাজ সম্পন্ন করার জন্য সালাম ফেরানো ওয়াজিব। সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করা হয়। জামাতে নামাজের সময় ইমাম সাহেবের ডানে বামে সালাম ফেরানোর পর মুক্তাদি সালাম ফেরাবে। এটা সালাম ফেরানোর নিয়ম। সালাম ফেরানোর পর অনেক দোয়া রয়েছে, যেগুলো পড়া সুন্নত। এখানে একটি দোয়া উল্লেখ করা হয়েছে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) নামাজের সালাম ফেরানোর পর এই দোয়া বলতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৫৯২; তিরমিজি, হাদিস : ২৯৮-২৯৯; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫১২) দোয়াটি হলো (আরবি)- اللهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَامُ، تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া…

বিস্তারিত

বিরামপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিরামপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ শাহ্ আলম মন্ডল, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বিরামপুরে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পৌর শহরের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান সহ সকল নেতৃবৃন্দের রোগ মুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য তোছাদ্দেক হোসেন তোছা, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী চৌধুরী রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম নূরা, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়হাম…

বিস্তারিত

সুস্থ ও ভালো থাকার দোয়া

সুস্থ ও ভালো থাকার দোয়া

সুস্থতা আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে বড় নিয়ামতগুলোর একটি। সুস্থতা যে কত মূল্যবান— অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা কেউ অনুধাবন করতে পারে না। অসুস্থতা ও রোগ-বালাই কেউই কামনা করে না। তবুও নানা সময়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্বলতা ও রোগ পেয়ে বসে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ব্যক্তির সুস্থতা কিন্তু শুধু ব্যক্তির নিজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং ব্যক্তির সুস্থতা তার নিজের, পরিবারের, কর্মক্ষেত্রের, দেশের এবং সর্বোপরি ইবাদত-বন্দেগির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যত বেশি সুস্থ থাকতে পারবে, সে তত বেশি ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। দেশের ও মানুষের জন্য তত বেশি অবদান রাখতে পারবে। তাই…

বিস্তারিত

দোয়া মাসুরা কখন পড়বেন?

দোয়া মাসুরা কখন পড়বেন?

নামাজের শেষ বৈঠকে দোয়া মাসুরা পড়তে হয়। তাশাহ্হুদের পর দরুদ পড়া এবং এরপর দোয়া মাসুরা পড়া সুন্নত। দোয়া মাসুরা শেষে সালাম ফেরাতে হয়। এখানে পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। বরং একটি মাসনুন দোয়া পড়লেই হয়। এমনকি একাধিক দোয়াও পড়া যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘অতঃপর (দরুদ পাঠের পর) যে দোয়া ইচ্ছে, সেটা পড়বে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪০২) দোয়া মাসুরার এক্ষেত্রে বেশি প্রসিদ্ধ হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসি…’ এই দোয়াটি। ফলে অনেকেই মনে করেন দোয়া মাসুরা বলতে শুধু এটিই। এটি ছাড়া অন্য কোনো দোয়া পড়লে হবে না। আসলে বিষয়টি এমন…

বিস্তারিত

দোয়া কুনুত পড়তে না পারলে করণীয়

দোয়া কুনুত পড়তে না পারলে করণীয়

কেউ কেউ দোয়া কুনুত মুখস্থ পড়তে পারেন না। তাই বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাতে কোন দোয়া পড়বেন কিংবা কী পড়া যায়— এসব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এখন প্রশ্ন হলো- তারা কী পড়তে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তর হলো-  বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া ওয়াজিব। তৃতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলিয়ে তাকবির বলে হাত বেঁধে পড়তে হয়। তবে দোয়ায়ে কুনুত হুবহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত শব্দে হওয়া ওয়াজিব নয়। বরং মুসল্লি অন্য কোনো দোয়াও করতে পারেন। হাদিসের শব্দের বাইরে কিছু বাড়াতেও পারেন। এমনকি যদি কোরআনের যেসব আয়াতে দোয়া আছে,…

বিস্তারিত

দোয়া কুনুত পড়ার সওয়াব

দোয়া কুনুত পড়ার সওয়াব

দোয়া কুনুত মূল্যবান দোয়াগুলোর মধ্যে থেকে অন্যতম, বিতর নামাজের তৃতীয় রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোর পর এটি পাঠ করতে হয়। এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুরুত্বপূর্ণ আবেদনগুলো তুলে ধরা হয়। দোয়া কুনুত রাসুল (সা.) মাঝে মাঝে পাঠ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমি একরাতে নবী (সা.)-এর নিকটে ছিলাম। তিনি শয্যাত্যাগ করলেন এবং দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। এরপর উঠে বিতর পড়লেন। প্রথম রাকাতে ফাতিহার পর সুরা আআলা পাঠ করলেন। এরপর রুকু ও সিজদা করলেন। দ্বিতীয় রাকাতে ফাতিহা ও কাফিরূন পাঠ করলেন এবং রুকু-সিজদা করলেন। তৃতীয় রাকাতে ফাতিহা ও ইখলাস…

বিস্তারিত