নবীজির দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো আমল

নবীজির দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো আমল

মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হলো নেক আমল। কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক নেক আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করা যায়। নিম্নে এমন কিছু আমল তুলে ধরা হলো, যেগুলোকে রাসুল (সা.) বিভিন্ন সময় উত্তম আমল বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ঈমান-বিশ্বাস আনা আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা।’ আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।’ প্রশ্ন করা হলো, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, ‘যে হজ কবুল হয়।’ মুহাম্মদ ইবনে জাফরের বর্ণনায় আছে,…

বিস্তারিত

যে আমলে ১ বছর নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব

যে আমলে ১ বছর নফল রোজা ও নামাজের সওয়াব

জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। এই দিন জোহরের নামাজ আদায় করা হয় না। বরং এর বদলে জুমার নামাজ পড়া হয়। জুমার দিনের গুরুত্ব শরিয়তে অনেক বেশি। এই দিনের বিভন্ন আমল রয়েছে, যেগুলো করলে আল্লাহ তাআলা বিপুল সওয়াব দান করেন। জুমুার দিনের গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) থেতে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনে তাকে বেহেশতে প্রবেশ করা হয়েছে এবং এই দিনে তাকে বেহেশত থেকে বের করে (পৃথিবীতে পাঠিয়ে) দেওয়া হয়েছে এবং জুমার দিনই কেয়ামতত…

বিস্তারিত

লোক-দেখানো আমল করলে যে শাস্তি

লোক-দেখানো আমল করলে যে শাস্তি

রিয়া করা শরিয়তে সম্পূর্ণরূপে হারাম। রিয়া মানে হলো- লোক-দেখানো কাজ, আত্মপ্রদর্শন, মুনাফিকী ও ভণ্ডামি ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় রিয়া বলে-  সুনামের আশায় বা দুর্নামের ভয়ে সৎ আমল ও নেক কাজ করা, যাতে লোক ভালো বলে বা ভালো নজরে থাকা যায়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা রিয়াকারীর জন্য কঠিন শাস্তি রেখেছেন। তাই লৌকিকতা দেখিয়ে নিজেকে শাস্তির জন্য তৈরি না করাই মুমিনের কাজ। জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর জন্য এবং মানুষের নিকট প্রসিদ্ধি লাভ করার জন্য কোনো আমল করে— আল্লাহ তাআলা তার অবস্থা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে…

বিস্তারিত

যে আমল করলে সহজে জান্নাতে যাওয়া যায়

যে আমল করলে সহজে জান্নাতে যাওয়া যায়

জান্নাত অনন্ত সুখের আধার। শান্তি-সুনিবিড় আনন্দ-পল্লী। প্রতিটি মুমিনের শেষ ঠিকানা। মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই সবাইকে জান্নাতের পথে ডেকেছেন। জান্নাতে যাওয়ার সব রকম পথ অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ২৫) জান্নাত লাভের সহজ ও ছোট ছোট অনেক আমল রয়েছে। এখানে কেবল দশটি উল্লেখ করা হলো- এক. সালামের প্রচার-প্রসার রাসুল (সা.) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি ইমান আনবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ কোনো মুসলমান পরস্পর একে অন্যকে ভালোবাসবে না, ততক্ষণ তারা পূর্ণ…

বিস্তারিত

কেউ মারা গেলে যে আমল করবেন

কেউ মারা গেলে যে আমল করবেন

মৃত্যু অমোঘ সত্য। মৃত্যু থেকে কেউ বেঁচে থাকতে পারবে না। নির্ধারিত সময়ে মৃত্যু আসবেই। ‍মৃত্যু থেকে পালানোর যতই চেষ্টা করা হোক— কেউ কোনোদিন সফল হতে পারে না। তাই ঈমানের সঙ্গে সুন্দর ও অর্থবহ মৃত্যুই প্রবল প্রত্যাশিত। কেউ মারা গেলে করণীয় যখন কারও মৃত্যুসংবাদ শুনতে পাবেন, তখন কী আমল করবেন? এই বিষয়টি অনেকে জানে না। মূলত মৃত্যুর সংবাদ শোনামাত্র ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়তে হয়। আর মৃত ব্যক্তির আশ-পাশে থাকলে, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার হাত-পা সোজা করে দিতে হয়। এরপর চোখ-মুখ বন্ধ করে দেওয়া লাগে। আর খাটিয়ার ওপর শুইয়ে…

বিস্তারিত