প্রেম করে বিয়ে, গৃহবধুর গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিল স্বামীর বড় ভাই

প্রেম করে বিয়ে, গৃহবধুর গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিল স্বামীর বড় ভাই

ছাত্রলীগের নতুন কমিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ  : সা.সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ

লালমনিরহাটে প্রেম করে বিয়ে করার অপরাধে এক গৃহবধূকে মারধর করে গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে নিযার্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার বিকেলে আহত ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী হাসপাতালে পরে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রেম করে বিয়ে, গৃহবধুর গোপনাঙ্গে মরিচের গুড়া দিল স্বামীর বড় ভাই

এর আগে মঙ্গলবার রাতে জেসমিন আক্তার নামের ওই গৃহবধূকে আদিতমারী উপজেলার বালাটারী গ্রামের নুর ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আহত গৃহবধূ জেসমিন আক্তার উপজেলার রথেরপাড় গ্রামের জাফর উদ্দিনের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বালাটারী গ্রামের হাফেজ আলীর ছেলে বাদশা আলম আড়াই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে একই উপজেলার রথেরপাড় গ্রামের জাফর উদ্দিনের মেয়ে জেসমিন আক্তারকে।

বাবা হাফেজ আলী মেনে নিলেও বাদশা আলমের অপর দুই ভাই নুর ইসলাম ও নুর আলম এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় বাদশা-জেসমিন দম্পতি আলাদা বাড়িতে বসবাস করে আসছে। ওই ঘটনার জের ধরে জেসমিনকে বাড়ি ছাড়া করতে প্রায়ই মারধর করতো নুর আলম ও নুর ইসলাম। এ নিয়ে কয়েক দফায় গ্রাম্য শালিস বসে।

মঙ্গলবার বিকেলে স্বামী বাদশা আলম বাজারে গেলে জেসমিন আক্তার নুর আলমদের বাড়ির সামনে যায়। এ সময় তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় স্বামীর বড় ভাই নুর ইসলাম।

এরপর শুরু হয় লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর। একপর্যায়ে জেসমিনের ওপর চলে আমানুষিক নির্যাতন। পরে তার গোপনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত পানি ঢেলে দেয় নুর আলমের স্ত্রী। পরে তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়।

স্থানীয়দের খবরে স্বামী বাদশা আলম ও মা রাশেদা বেগম আহত জেসমিনকে উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। অবশেষে থানা পুলিশ বুধবার জেসমিনকে ওই ঘর থেকে উদ্ধার করে প্রথমে আদিতমারী হাসপাতালে পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জেসমিনের স্বামী বাদশা আলম বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

গৃহবধূ জেসমিন আক্তার বলেন, স্বামীর ভাইরা ডেকে নিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই লোহার রড দিয়ে মারপিট ও কামড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিঁড়ে নিয়েছে। এরপর মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত পানি গোপনাঙ্গসহ সমস্ত শরীরে ঢেলে দেয়। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সামিহা তাসনিম মুনমুন জানান, ওই গৃহবধূর সমস্ত শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গোপনাঙ্গের জ্বালাপোড়া কিছুটা কমলেও চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে আদিতমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment