মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

নামাজ সংক্রান্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা। প্রথমত হলো- মুক্তাদি (যিনি ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন এবং ইমামকে অনুসরণ করেন।) ইমামের সঙ্গে নামাজের প্রতিটি ওঠা-বসায় কি তাকবিরগুলো বলতে হবে?

দ্বিতীয়ত মাসবুক ব্যক্তি (যিনি ইমামকে প্রথম রাকাত শেষ হওয়ার পর যেকোনো রাকাতে বা অবস্থায় নামাজে পেয়েছেন।) যদি ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতে পেয়ে থাকেন, তাহলে কি ইমামের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তাকেও তাশাহহুদ পড়তে হবে? আর এমন অবস্থায় তার করণীয় কী?

প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো- হ্যাঁ, মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবির বলবে। এ তাকবিরগুলো বলা মুক্তাদির জন্যও সুন্নত (আর তাকবিরে তাহরিমা ফরজ)। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ইমাম নির্ধারণ করাই হয়েছে তার অনুসরণের জন্য। সুতরাং যখন তিনি তাকবির বলেন, তোমরাও তাকবির বলো। তিনি যখন রুকু করেন, তোমরাও রুকু করো।…’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৩৪; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃষ্ঠা : ৩১৯; হাশিয়াতুত তাহাবি আলাল মারাকি, পৃষ্ঠা : ২৮২)

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হলো- হ্যাঁ, মাসবুক ব্যক্তি যদি ইমামের সাথে প্রথম বৈঠকে শরিক হয়, তাহলে তিনিও তাশাহুদ পড়বেন। এক্ষেত্রে তার দুই রাকাত পূর্ণ না হলেও ইমামের অনুসরণে তাশাহুদ পড়তে হবে। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি ইমামের সঙ্গে নামাজের কিছু অংশ হারিয়ে ফেলেন, তাহলে তিনি কি ইমাম যখন বৈঠকে বসে তখন তার সঙ্গে তাশাহুদ পড়বে? তখন তিনি বলেন, হ্যাঁ মাসবুক ইমামের সাথে প্রত্যেক বৈঠকেই তাশাহহুদ পড়বে ‘ (কিতাবুল আছার, ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা : ১৩১; বাদায়িউস সানায়ি : ১/৫৬৩; মুখতারাতুন নাওয়াযিল : ১/২৯৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/১৫৯; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া : ১/১০১; রদ্দুল মুহতার : ২/৮৫)

প্রশ্নটি করেছেন : মুহাম্মদ উসমান, মুহাম্মদপুর, ঢাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন