নারীদের চুল দেখা গেলে নামাজ হবে কি?

নারীদের চুল দেখা গেলে নামাজ হবে কি?

আমি শুনেছি নামাজের ভেতরে মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা ফরজ। কিন্তু কিছু ওড়না আছে এতটা পাতলা, যা দ্বারা মাথা ঢাকার পরও মাথার চুল স্পষ্টভাবে দেখা যায়। কোনো নারী যদি এ ধরনের ওড়না পরে নামাজ পড়ে তাহলে কি তার নামাজে কোনো সমস্যা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে জেনে নেওয়া ভালো যে, দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। সর্বাবস্থায় নামাজ আদায় প্রতিটি মুমিনের ওপর অত্যাবশক। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও নামাজ আদায় করতে হবে। তবে নামাজ আদায়ের ধরনে তখন ভিন্নতা আসে। নামাজ আদায়ে কিছু বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। না হয়— হয়ত নামাজ নষ্ট হয়ে…

বিস্তারিত

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

প্রশ্ন: ফজরের নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর কোনো মুসল্লি যদি মসজিদে এসে বারান্দায় অথবা মসজিদের পেছনের দিকে ফজরের সুন্নত নামাজ পড়তে চান তা কি তার জন্য জায়েজ হবে? কুরআন ও হাদিসের আলোকে মাসআলাটি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে কোনো কোনো ব্যক্তি মত প্রকাশ করে থাকেন যে, ‘ফরজ নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে অন্য কোনো নামাজ বা সুন্নত নামাজ (বিশেষ করে ফজরের সুন্নত) সম্পূর্ণ হারাম, সুন্নত বিরোধী।’ উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফজরের ইকামত চলাবস্থায় বা জামাত চলাবস্থায় মসজিদে আসে আর তার কাছে মনে হয় যে সুন্নত পড়ে অন্তত এক…

বিস্তারিত

কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে কি?

কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে কি?

দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে মানুষ মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ভাবে না। কিন্তু এই মায়ার জাল ছেড়ে একদিন পরপারে পাড়ি জমাতেই হবে। মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রথমধাপ হবে কবর। মানুষ পৃথিবীতে মৃত্যু-কবর নিয়ে খুব একটা না ভাবলেও কোনো আত্মীয়ের মৃত্যু, কাফন-দাফন, করব জিয়ারতসহ বিভিন্ন কারণে কবরস্থানের সঙ্গে তার এক অদৃশ্য সম্পর্ক সবসময় থাকে। বিভিন্ন সময় যাওয়া-আসা চলে কবরস্থানে। অনেক সময় কবরস্থানে অবস্থানকালে নামাজের সময় হয়ে যায়, কিন্তু কবরস্থানে নামাজ জায়েজ হবে কিনা তা জানা থাকে না অনেকের, তাই এক একধরনের দ্বিধা-সংশয় কাজ করে। এ বিষয়ে ইসলামী সমাধান হলো, ফেকাহবিদ আলেমরা কবরস্থানে নামাজ পড়ার অনুমতি দেন না। কারণ, কবরকে…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে। নামাজির সামনে কোনো রেখে যাওয়ার বস্তুকে ‘সুতরা’ বলে। নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ)— তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে…

বিস্তারিত

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে। ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে…

বিস্তারিত

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে আমার মনোযোগ একটু বেশি হয়। তাই আমি নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় সাধারণত চোখ বন্ধ করে রাখি। কিছুদিন আগে আমাকে চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়তে দেখে— আমার বড় ভাই বললেন, ‘নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখ কেন? এভাবে নামাজ পড়া ঠিক না।’ জানার বিষয় হলো- তিনি কি ঠিক বলেছেন? চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হবে? সঠিক মাসআলাটি জানতে চাই। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখবে। বিনা প্রয়োজনে নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখা মাকরূহ। প্রখ্যাত ফিকাহবিদ ও মুসলিম মনীষী ইবরাহিম…

বিস্তারিত

মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

নামাজ সংক্রান্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা। প্রথমত হলো- মুক্তাদি (যিনি ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন এবং ইমামকে অনুসরণ করেন।) ইমামের সঙ্গে নামাজের প্রতিটি ওঠা-বসায় কি তাকবিরগুলো বলতে হবে? দ্বিতীয়ত মাসবুক ব্যক্তি (যিনি ইমামকে প্রথম রাকাত শেষ হওয়ার পর যেকোনো রাকাতে বা অবস্থায় নামাজে পেয়েছেন।) যদি ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতে পেয়ে থাকেন, তাহলে কি ইমামের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তাকেও তাশাহহুদ পড়তে হবে? আর এমন অবস্থায় তার করণীয় কী? প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো- হ্যাঁ, মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবির বলবে। এ তাকবিরগুলো বলা মুক্তাদির জন্যও সুন্নত (আর তাকবিরে তাহরিমা ফরজ)। আবু হুরায়রা (রা.)…

বিস্তারিত

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

এক ব্যক্তি কাজের কারণে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারেন না। পরে ঘরে এসে তা কাজা পড়েন। মানে সময়ের পরে তিনি আদায় করেন। এটা কতটুকু শরিয়তসম্মত? উত্তর : কাজা হলো- এটা হচ্ছে এক্সিডেন্ট। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনার কারণে ববা অসুবিধার কারণে যথা সময়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে— সেটার ব্যবস্থা হলো কাজা। কিন্তু নিয়মিতভাবে যদি এটাকে অভ্যাস করা হয় অথবা নিয়মিতভাবে আমি এটাকে যদি অভ্যাস এবং দৈনিক রুটিনে রূপান্তর করি, সেটা কোনোভাবেই শরিয়তে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাকে যেকোনো মূল্যেই অজুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অজু থাকতে হবে এবং রাখতে চেষ্টা করব। আর কাজের ক্ষেত্রে…

বিস্তারিত