প্রাণীর ছবি টানানো ঘরে নামাজ হবে?

প্রাণীর ছবি টানানো ঘরে নামাজ হবে?

পৃথিবীর জীবন শেষে পরকালে চিরস্থায়ী শান্তি অথবা শাস্তি নির্ধারিত হবে কেয়ামতের ময়দানে। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর হিসাব নেবেন। এতে কারও প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না। সবাইকে তার আমল অনুযায়ী জান্নাত-জাহান্নামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর কারও আর সুযোগ থাকবে না নিজের ভাগ্য ও আবাস্থল পরিবর্তনের। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা মানুষের আমল, ভালো-মন্দের হিসাব শুরু করবেন নামাজের মাধ্যমে। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয় কেয়ামতের দিন বান্দার যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে…

বিস্তারিত

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

প্রশ্ন: ফজরের নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর কোনো মুসল্লি যদি মসজিদে এসে বারান্দায় অথবা মসজিদের পেছনের দিকে ফজরের সুন্নত নামাজ পড়তে চান তা কি তার জন্য জায়েজ হবে? কুরআন ও হাদিসের আলোকে মাসআলাটি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে কোনো কোনো ব্যক্তি মত প্রকাশ করে থাকেন যে, ‘ফরজ নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে অন্য কোনো নামাজ বা সুন্নত নামাজ (বিশেষ করে ফজরের সুন্নত) সম্পূর্ণ হারাম, সুন্নত বিরোধী।’ উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফজরের ইকামত চলাবস্থায় বা জামাত চলাবস্থায় মসজিদে আসে আর তার কাছে মনে হয় যে সুন্নত পড়ে অন্তত এক…

বিস্তারিত

নামাজে সিজদায় কী কী দোয়া পড়া যায়?

নামাজে সিজদায় কী কী দোয়া পড়া যায়?

সিজদায় গেলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যে চলে যায়। সিজদা মানে প্রভুর দরবারে মাথা লুটিয়ে দেওয়া। সিজদা শব্দটি মূলত আরবি। শাব্দিক অর্থ- নম্রতা, বিনয়, মাথানত করা, আত্মসমর্পণ করা, ঝুঁকে পড়া, চেহারা মাটিতে রাখা ইত্যাদি। পারিভাষায় আল্লাহ তাআলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে বিনম্রচিত্তে মানুষের সাতটি অঙ্গ দ্বারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে— যে ইবাদত করা হয়, তাকে সিজদা বলে। সাতটি অঙ্গ বলতে আমরা সরাসরি সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিদ হাদিসের মাধ্যমে জানতে পারি, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে শরীরের সাতটি হাড়; যথা- নাকসহ কপাল, দুই হাত, দুই…

বিস্তারিত

নামাজে সানা পড়ার নিয়ম

নামাজে সানা পড়ার নিয়ম

নামাজে কি প্রতি রাকাতে সানা পড়তে হয়? নাকি শুধু প্রথম রাকাতে সানা পড়লে হয়? অন্য কোনো রাকাতে আর সানা পড়া লাগে না? নামাজে সানা পড়ার নয়ম কী? নামাজে আল্লাহু আকাবার বলে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো- সানা পড়া। এজন্য এটাকে শুরু করার দোয়া বলা হয়। আর এটা পুরা নামাজে একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেননা, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর) বলতেন– আরবি : سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা…

বিস্তারিত

প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়লে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়লে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

মুসলমানরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর একটি আদেশ পালন হয়। সেই সাথে আল্লাহর সাথেও সাক্ষাত হয়। একটি হাদিসে এসেছে, নামাজ হচ্ছে মুমিনের মেরাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, তারপর তোমরা নামাজ শেষ করার পর দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আর মানসিক প্রশান্তি লাভ করার পর পুরো নামাজ পড়ে নাও। আসলে নামাজ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে। (সুরা নিসা: ১০৩) নামাজের এই বিধানটি মুসলমানদের জন্য অনেকভাবেই উপকারী। বিশেষভাবে নামাজ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। যেই মানুষিক চাপগুলো…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে। নামাজির সামনে কোনো রেখে যাওয়ার বস্তুকে ‘সুতরা’ বলে। নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ)— তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে…

বিস্তারিত

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত। নামাজে তাই সার্বক্ষণিক সুস্থির ও পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু এরপরও অনেক সময় নানা চিন্তাভাবনা চলে আসে। আগের-পরের কত কথা যে মনে পড়ে তার হিসাব নেই। ফলে কিছু কিছু মুসল্লি মাঝেমধ্যে নামাজের রাকাত সংখ্যাও ভুলে বসেন। নামাজে মনোযোগহীনতার রোগটি নিন্দনীয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাই’ বলেছেন। এছাড়াও এ ব্যাপারে ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালি (রহ.) তার বিখ্যাত ‘ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এতে তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যেগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায়। নামাজে অন্তরের উপস্থিতি…

বিস্তারিত

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে। ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে…

বিস্তারিত