নামাজে হেসে ফেললে আবার নামাজ পড়তে হবে কি?

নামাজে হেসে ফেললে আবার নামাজ পড়তে হবে কি?

নামাজের মাঝে হালকা হেসে ফেললে নামাজ কি ভেঙে যাবে? মানে অট্টহাসিও নয়, আবার মুচকি হাসিও নয়। মুখ থেকে শব্দ হয়নি— কিন্তু শ্বাস বের হয়ে আসে হালকা জোরে। আর আমি নিজেও কোনো প্রকার শব্দ শুনতে পাইনি, কিন্তু শ্বাস বের হওয়ার শব্দ পেয়েছি। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ ভেঙে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো- নামাজে শব্দ করে হাসা ও কথা বলা। আর নামাজে শব্দ করে অট্টহাসি দিলে ওজুসহ ভেঙে যায়। (কানযুদ দাকায়েক : ১/১৪০) মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস সুলামি (রা.) নওমুসলিম অবস্থায় নামাজে কথা বললে— রাসুল (সা.) নামাজের পর তাকে বলেন, ‘নামাজের মধ্যে…

বিস্তারিত

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সর্বাবস্থায় নামাজ আদায় প্রতিটি মুমিনের ওপর অত্যাবশক। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও নামাজ আদায় করতে হবে। তবে তখন নামাজ আদায়ের ধরনে ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা আসে। অনেক সময় এরকম হয় যে, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু জামাতে নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তখন মুসল্লিকে কিছুটা বেসামালভাব পেয়ে বসে। কেউ কেউ নামাজ ভাঙবেন নাকি ধৈর্য ধরে শেষ করতে; তা বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে, প্রস্রাবের চাপ যদি এত কম হয় যে— যার কারণে নামাজে খুশু-খুজু বিনষ্ট হয় না,…

বিস্তারিত

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত। নামাজে তাই সার্বক্ষণিক সুস্থির ও পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু এরপরও অনেক সময় নানা চিন্তাভাবনা চলে আসে। আগের-পরের কত কথা যে মনে পড়ে তার হিসাব নেই। ফলে কিছু কিছু মুসল্লি মাঝেমধ্যে নামাজের রাকাত সংখ্যাও ভুলে বসেন। নামাজে মনোযোগহীনতার রোগটি নিন্দনীয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাই’ বলেছেন। এছাড়াও এ ব্যাপারে ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালি (রহ.) তার বিখ্যাত ‘ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এতে তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যেগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায়। নামাজে অন্তরের উপস্থিতি…

বিস্তারিত

নামাজের রাকাতে সন্দেহ হলে যা করবেন

নামাজের রাকাতে সন্দেহ হলে যা করবেন

নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ঈমানের পর নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে জিনিসের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বেশি— সে জিনিসে মনোযোগ ও ঐকান্তিকতাও বেশি থাকতে হয়। তবে এরপরও নামাজে কারণে-অকারণে কারো কারো মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই হাদিসে নামাজে মনোযোগ ও আন্তরিকতা এবং একাগ্রতা ধরে রাখার একটা চমৎকার মাধ্যম শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা হলো- নামাজ এমনভাবে পড়তে হবে— যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন এবং আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস…

বিস্তারিত

নামাজের জামাতে ওজু ছুটে গেলে করণীয় কী?

নামাজের জামাতে ওজু ছুটে গেলে করণীয় কী?

প্রশ্ন: ফরজ নামাজ জামাতে পড়ার সময়, দ্বিতীয় রাকাতে বায়ু বের হলে ওজু করে এসে দ্বিতীয় রাকাত ধরতে হবে না প্রথম থেকে নামাজ শুরু করতে হবে? উত্তর: জামাতে নামাজ পড়া অবস্থায় ওজু ছুটে গেলে তৎক্ষণাৎ ওজুর জন্য বের হয়ে যেতে হবে। ইমামের নামাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় বসে থাকা যাবে না। আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নামাজরত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত বের হলে কী করণীয় এ সম্পর্কে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, সে ওজুর জন্য বের হয়ে যাবে এবং ওজু করে আসবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা- ৫৯৫০) সালমান ফারসী (রা.) থেকে…

বিস্তারিত