কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে কি?

কবরস্থানে নামাজ পড়া যাবে কি?

দুনিয়ার ধোঁকায় পড়ে মানুষ মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে ভাবে না। কিন্তু এই মায়ার জাল ছেড়ে একদিন পরপারে পাড়ি জমাতেই হবে। মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রথমধাপ হবে কবর। মানুষ পৃথিবীতে মৃত্যু-কবর নিয়ে খুব একটা না ভাবলেও কোনো আত্মীয়ের মৃত্যু, কাফন-দাফন, করব জিয়ারতসহ বিভিন্ন কারণে কবরস্থানের সঙ্গে তার এক অদৃশ্য সম্পর্ক সবসময় থাকে। বিভিন্ন সময় যাওয়া-আসা চলে কবরস্থানে। অনেক সময় কবরস্থানে অবস্থানকালে নামাজের সময় হয়ে যায়, কিন্তু কবরস্থানে নামাজ জায়েজ হবে কিনা তা জানা থাকে না অনেকের, তাই এক একধরনের দ্বিধা-সংশয় কাজ করে। এ বিষয়ে ইসলামী সমাধান হলো, ফেকাহবিদ আলেমরা কবরস্থানে নামাজ পড়ার অনুমতি দেন না। কারণ, কবরকে…

বিস্তারিত

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারগুলোর সামনে থেকে এঁকে-বেঁকে বাইরের দিকে চলে গেছে টিকিটপ্রত্যাশী মানুষের দীর্ঘ লাইন। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেতে কেউ শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে, কেউ সেহেরির পর এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের অপেক্ষার অবসান শেষে কমলাপুর থেকে ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার কিছু সময় পর কমলাপুর রেলস্টেশনের দুইপাশ মিলিয়ে ২৬টি কাউন্টারে একসঙ্গে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে একটি কাউন্টের শুধুমাত্র নারী ও প্রতিবন্ধীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এদিকে একই সময় কাউন্টারগুলোর পাশাপাশি অনলাইনেও ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৭ এপ্রিলের…

বিস্তারিত

তারাবির নামাজের নিয়ম ও দোয়া

তারাবির নামাজের নিয়ম ও দোয়া

রমজান মাসে বিশেষ একটি ইবাদত তারাবি। তারাবির নামাজ বছরের আর কোনো মাসে নেই। তারাবি আরবি শব্দ ‘তারবিহাতুন’-এর বহুবচন। এর অর্থ হলো- আরাম করা ও বিশ্রাম করা। ইসলামি বিধান অনুযায়ী, তারাবির নামাজে প্রতি চার রাকাত পর পর কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই এ নামাজকে তারাবির বা প্রশান্তির নামাজ বলা হয়। তারাবির নামাজের রাকাত তারাবির নামাজ ২০ রাকাত। আট রাকাতের মধ্যে তারাবির নামাজকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা অনুচিত। পবিত্র রমজান মাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল এই তারাবির নামাজ। এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আল্লাহর রাসুল (সা.) তিন দিন এই নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন।…

বিস্তারিত

নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে যা করবেন

নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে যা করবেন

যদি কেউ নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে যায় এবং সিজদা করার পূর্ব মুহূর্তে স্মরণে আসায় বসে পড়েন; তাহলে সাহু সিজদা করলে কি তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে? এছাড়াও আরও দুইটি প্রশ্ন রয়েছে, একটি হলো- জামাতে ইমাম সাহেব তৃতীয় রাকাতে বসে যায়, মুক্তাদির লোকমা দেওয়ার কারণে ৪র্থ রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে— সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? আরেকটি হলো- অনাবশ্যক সিজদায়ে সাহু করলে নামাজে কোনো ত্রুটি হবে? এখানে প্রশ্নের উত্তর আলাদাভাবে দেওয়া লাগবে। উল্লেখিত প্রথম অবস্থায় নামাজ হয়ে যাবে। তবে তাশাহহুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ে তারপর ডান দিকে সালাম দিয়ে সিজদায়ে সাহু করতে হবে।…

বিস্তারিত

প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন জগন্নাথপুর এর আরশ আলী

প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন জগন্নাথপুর এর আরশ আলী

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ জগন্নাথপুর এর কৃতি সন্তান আরশ আলী প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিনন্দিত। গত ২৩ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রকাশিত এক গেজেটে বাংলাদেশ গনতন্ত্রী পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আরশ আলীকে প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর সাথে একই গেজেটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও একই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।  সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার কৃতি সন্তান ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আরশ আলী ১৯৭১ সালে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ এর জন্য সূদুর লন্ডনে অধ্যায়নকালীন সময়ে…

বিস্তারিত

নামাজে সিজদায় কী কী দোয়া পড়া যায়?

নামাজে সিজদায় কী কী দোয়া পড়া যায়?

সিজদায় গেলে বান্দা আল্লাহর নৈকট্যে চলে যায়। সিজদা মানে প্রভুর দরবারে মাথা লুটিয়ে দেওয়া। সিজদা শব্দটি মূলত আরবি। শাব্দিক অর্থ- নম্রতা, বিনয়, মাথানত করা, আত্মসমর্পণ করা, ঝুঁকে পড়া, চেহারা মাটিতে রাখা ইত্যাদি। পারিভাষায় আল্লাহ তাআলার ইবাদতের উদ্দেশ্যে বিনম্রচিত্তে মানুষের সাতটি অঙ্গ দ্বারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে— যে ইবাদত করা হয়, তাকে সিজদা বলে। সাতটি অঙ্গ বলতে আমরা সরাসরি সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিদ হাদিসের মাধ্যমে জানতে পারি, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে শরীরের সাতটি হাড়; যথা- নাকসহ কপাল, দুই হাত, দুই…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে। নামাজির সামনে কোনো রেখে যাওয়ার বস্তুকে ‘সুতরা’ বলে। নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ)— তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে…

বিস্তারিত

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সর্বাবস্থায় নামাজ আদায় প্রতিটি মুমিনের ওপর অত্যাবশক। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও নামাজ আদায় করতে হবে। তবে তখন নামাজ আদায়ের ধরনে ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা আসে। অনেক সময় এরকম হয় যে, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু জামাতে নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তখন মুসল্লিকে কিছুটা বেসামালভাব পেয়ে বসে। কেউ কেউ নামাজ ভাঙবেন নাকি ধৈর্য ধরে শেষ করতে; তা বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে, প্রস্রাবের চাপ যদি এত কম হয় যে— যার কারণে নামাজে খুশু-খুজু বিনষ্ট হয় না,…

বিস্তারিত