ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

প্রশ্ন: ফজরের নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর কোনো মুসল্লি যদি মসজিদে এসে বারান্দায় অথবা মসজিদের পেছনের দিকে ফজরের সুন্নত নামাজ পড়তে চান তা কি তার জন্য জায়েজ হবে? কুরআন ও হাদিসের আলোকে মাসআলাটি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে কোনো কোনো ব্যক্তি মত প্রকাশ করে থাকেন যে, ‘ফরজ নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে অন্য কোনো নামাজ বা সুন্নত নামাজ (বিশেষ করে ফজরের সুন্নত) সম্পূর্ণ হারাম, সুন্নত বিরোধী।’ উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফজরের ইকামত চলাবস্থায় বা জামাত চলাবস্থায় মসজিদে আসে আর তার কাছে মনে হয় যে সুন্নত পড়ে অন্তত এক…

বিস্তারিত

জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে হরিপুর মডেল মসজিদের নামাজের শুভ উদ্বোধন

জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে হরিপুর মডেল মসজিদের নামাজের শুভ উদ্বোধন

জসীম উদ্দিন ইতি: হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় নিমাণাধীন ৬টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম ধাপের সারাদেশের ৫০টি মসজিদের মধ্যে জেলার একমাত্র নির্মানকাজ সম্পুন্ন হওয়া হরিপুর মডেল মসজিদে আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে নামাজের শুভ উদ্বোধন করলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মোঃ মাহাবুবুর রহমান। এসময় তাঁরসাথে উক্ত মডেল মসজিদে নামাজ আদায় করেন, ঠাকুরগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ডিডি মোঃ মশিউর রহমান, গণপূণ বিভাগের উপ বিভগীয় প্রকৌশলী জনাব,এম কে এম নুরুল হাসান। উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইউসুফ আলী,উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হাসান মুকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব,আব্দুল করিম। সহকারি…

বিস্তারিত

নামাজে সতর খুলে গেলে কী করবেন?

নামাজে সতর খুলে গেলে কী করবেন?

নামাজ মুমিনের আবশ্যিক আদায়ের ইবাদত। আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের সবচেয়ে বড় উপায় ও মাধ্য হলো- নামাজ। তাই নামাজ আদায় করতে হয় সব নিয়ম-বিধি পালন করে। নামাজ আদায়ে কখনো অবহেলা করা যায় না। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য অনেক শর্ত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। নারীদের মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া সব অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়লে তা আদায়…

বিস্তারিত

টি-শার্ট পরে নামাজ পড়া যাবে কি?

টি-শার্ট পরে নামাজ পড়া যাবে কি?

হাফ শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়া যাবে কিনা? এভাবে কাপড় পরে নামাজ পড়লে নামাজ আদায় হবে? নাকি ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা তৈরি হবে কি? এমন প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। এর উত্তর হলো- জি, হাফ শার্ট অথবা গেঞ্জি পরিধান করে নামাজ পড়লে— নামাজ আদায় হবে। নামাজের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, একজন পুরুষের জন্য যেটা প্রয়োজন— সেটা হলো- সতর ঢাকতে হয়। সতর হলো- নাভি থেকে আরম্ভ করে হাঁটু পর্যন্ত। এটা ঢাকা থাকতে হবে, এটা ফরজ। এরপরে শালীন পোষাক পরিধান করে সুন্দর পোশাক পরিধান করে নামাজ পড়তে আল্লাহ বলেছেন। خذوا زينتكم عند…

বিস্তারিত

নামাজে সানা পড়ার নিয়ম

নামাজে সানা পড়ার নিয়ম

নামাজে কি প্রতি রাকাতে সানা পড়তে হয়? নাকি শুধু প্রথম রাকাতে সানা পড়লে হয়? অন্য কোনো রাকাতে আর সানা পড়া লাগে না? নামাজে সানা পড়ার নয়ম কী? নামাজে আল্লাহু আকাবার বলে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো- সানা পড়া। এজন্য এটাকে শুরু করার দোয়া বলা হয়। আর এটা পুরা নামাজে একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেননা, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ শুরু করে (তাকবিরে তাহরিমার পর) বলতেন– আরবি : سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالِىْ جَدُّكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ উচ্চারণ : সুবহানাকাল্লাহুম্মা…

বিস্তারিত

প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়লে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়লে মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন জেনে নিন

মুসলমানরা দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ে। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহর একটি আদেশ পালন হয়। সেই সাথে আল্লাহর সাথেও সাক্ষাত হয়। একটি হাদিসে এসেছে, নামাজ হচ্ছে মুমিনের মেরাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন, তারপর তোমরা নামাজ শেষ করার পর দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকো। আর মানসিক প্রশান্তি লাভ করার পর পুরো নামাজ পড়ে নাও। আসলে নামাজ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে। (সুরা নিসা: ১০৩) নামাজের এই বিধানটি মুসলমানদের জন্য অনেকভাবেই উপকারী। বিশেষভাবে নামাজ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। যেই মানুষিক চাপগুলো…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে। নামাজির সামনে কোনো রেখে যাওয়ার বস্তুকে ‘সুতরা’ বলে। নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ)— তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে…

বিস্তারিত

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে। ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে…

বিস্তারিত