নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে যা করবেন

নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে গেলে যা করবেন

যদি কেউ নামাজে শেষ বৈঠক না করে ভুলে দাঁড়িয়ে যায় এবং সিজদা করার পূর্ব মুহূর্তে স্মরণে আসায় বসে পড়েন; তাহলে সাহু সিজদা করলে কি তার নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে? এছাড়াও আরও দুইটি প্রশ্ন রয়েছে, একটি হলো- জামাতে ইমাম সাহেব তৃতীয় রাকাতে বসে যায়, মুক্তাদির লোকমা দেওয়ার কারণে ৪র্থ রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে গেলে— সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে? আরেকটি হলো- অনাবশ্যক সিজদায়ে সাহু করলে নামাজে কোনো ত্রুটি হবে? এখানে প্রশ্নের উত্তর আলাদাভাবে দেওয়া লাগবে। উল্লেখিত প্রথম অবস্থায় নামাজ হয়ে যাবে। তবে তাশাহহুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়ে তারপর ডান দিকে সালাম দিয়ে সিজদায়ে সাহু করতে হবে।…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

নামাজে প্রস্রাবের চাপ এলে যা করবেন

আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সর্বাবস্থায় নামাজ আদায় প্রতিটি মুমিনের ওপর অত্যাবশক। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলেও নামাজ আদায় করতে হবে। তবে তখন নামাজ আদায়ের ধরনে ও পদ্ধতিতে ভিন্নতা আসে। অনেক সময় এরকম হয় যে, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু জামাতে নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রস্রাবের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। তখন মুসল্লিকে কিছুটা বেসামালভাব পেয়ে বসে। কেউ কেউ নামাজ ভাঙবেন নাকি ধৈর্য ধরে শেষ করতে; তা বুঝতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে, প্রস্রাবের চাপ যদি এত কম হয় যে— যার কারণে নামাজে খুশু-খুজু বিনষ্ট হয় না,…

বিস্তারিত

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজে মনোযোগ ধরে রাখবেন যেভাবে

নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত। নামাজে তাই সার্বক্ষণিক সুস্থির ও পূর্ণ মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু এরপরও অনেক সময় নানা চিন্তাভাবনা চলে আসে। আগের-পরের কত কথা যে মনে পড়ে তার হিসাব নেই। ফলে কিছু কিছু মুসল্লি মাঝেমধ্যে নামাজের রাকাত সংখ্যাও ভুলে বসেন। নামাজে মনোযোগহীনতার রোগটি নিন্দনীয়। আল্লাহর রাসুল (সা.) এটিকে ‘শয়তানের ছিনতাই’ বলেছেন। এছাড়াও এ ব্যাপারে ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালি (রহ.) তার বিখ্যাত ‘ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এতে তিনি ছয়টি বিষয়ের কথা বর্ণনা করেন, যেগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে নামাজে মনোযোগ ধরে রাখা যায়। নামাজে অন্তরের উপস্থিতি…

বিস্তারিত

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে। ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে…

বিস্তারিত

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে আমার মনোযোগ একটু বেশি হয়। তাই আমি নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় সাধারণত চোখ বন্ধ করে রাখি। কিছুদিন আগে আমাকে চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়তে দেখে— আমার বড় ভাই বললেন, ‘নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখ কেন? এভাবে নামাজ পড়া ঠিক না।’ জানার বিষয় হলো- তিনি কি ঠিক বলেছেন? চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হবে? সঠিক মাসআলাটি জানতে চাই। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখবে। বিনা প্রয়োজনে নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখা মাকরূহ। প্রখ্যাত ফিকাহবিদ ও মুসলিম মনীষী ইবরাহিম…

বিস্তারিত

নামাজের রাকাতে সন্দেহ হলে যা করবেন

নামাজের রাকাতে সন্দেহ হলে যা করবেন

নামাজ মুমিনের শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ঈমানের পর নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে জিনিসের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বেশি— সে জিনিসে মনোযোগ ও ঐকান্তিকতাও বেশি থাকতে হয়। তবে এরপরও নামাজে কারণে-অকারণে কারো কারো মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই হাদিসে নামাজে মনোযোগ ও আন্তরিকতা এবং একাগ্রতা ধরে রাখার একটা চমৎকার মাধ্যম শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা হলো- নামাজ এমনভাবে পড়তে হবে— যেন আল্লাহ আমাকে দেখছেন এবং আমি তাকে দেখতে পাচ্ছি। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করো এমনভাবে, যেন তাঁকে তুমি দেখতে পাচ্ছ। আর যদি দেখতে না পাও, তবে তিনি যেন তোমাকে দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস…

বিস্তারিত

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

এক ব্যক্তি কাজের কারণে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারেন না। পরে ঘরে এসে তা কাজা পড়েন। মানে সময়ের পরে তিনি আদায় করেন। এটা কতটুকু শরিয়তসম্মত? উত্তর : কাজা হলো- এটা হচ্ছে এক্সিডেন্ট। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনার কারণে ববা অসুবিধার কারণে যথা সময়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে— সেটার ব্যবস্থা হলো কাজা। কিন্তু নিয়মিতভাবে যদি এটাকে অভ্যাস করা হয় অথবা নিয়মিতভাবে আমি এটাকে যদি অভ্যাস এবং দৈনিক রুটিনে রূপান্তর করি, সেটা কোনোভাবেই শরিয়তে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাকে যেকোনো মূল্যেই অজুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অজু থাকতে হবে এবং রাখতে চেষ্টা করব। আর কাজের ক্ষেত্রে…

বিস্তারিত

জুমার দিন মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?

জুমার দিন মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?

জুমার দিন যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে এই মৃত্যুর কি বিশেষ কোনো ফজিলত আছে? অনেককে বলতে শোনা যায়—  জুমার দিন মারা গেলে অনেক ফজিলত। সুতরাং এ দিন কেউ মৃত্যুবরণ করলেই বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাবেন। তাদের এই কথার বাস্তবতা কতটুকু? শরিয়ত এই ব্যাপারে কী বলে? শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলে— জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় কিংবা সরাসরি বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবেন, এ মর্মে কোরআন-হাদিসের কোথাও কোনো দলিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কবরের আজাব থেকে বাঁচার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে…

বিস্তারিত