জুমার নামাজ পড়তে না পারলে করণীয় কী…?

জুমার নামাজ পড়তে না পারলে করণীয় কী...?

জুমার দিন সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু এই উম্মতের জন্য এই দিনটি আরও বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে তাড়াতাড়ি করো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সুরা আল-জুমা, আয়াত : ০৯) শুক্রবারের দিন জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবাকে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত করা…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

সুন্নত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে কি?

কাজা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে শুধু ফরজ আদায় করলেই হবে— নাকি সুন্নাতও আদায় করতে হবে? অনেকেই এই বিষয়ে এমনটা প্রশ্ন করে থাকেন। তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজ কাজা হওয়া খুবই আফসোসের বিষয়! মুসলমানের নামাজ তো কাজা হওয়ার কথা না। মুসলমানদের তো আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পড়াকে ফরজ করে দিয়েছেন। এ তো পরীক্ষা, আর এতে পাশ করতে হবে। কাজা অর্থই হলো ফেল। আর হঠাৎ যদি কখনো কাজা হয়ে যায়, তাহলে হয়তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে; আল্লাহ মাফ করতে পারেন। কিন্তু যদি নিয়মিত নামাজ কাজা হয়, তবে তা খুবই জঘন্য…

বিস্তারিত

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

নামাজরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে কি?

কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে। নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করা গুনাহের কাজ। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব দিয়ে কিংবা নামাজির সামনে কোনো কিছু দিয়ে আড়াল করে— নামাজিকে অতিক্রম করা যাবে। নামাজির সামনে কোনো রেখে যাওয়ার বস্তুকে ‘সুতরা’ বলে। নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কঠোর সতর্কতা নামাজী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রমের ব্যাপারে হাদিসে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে, সে যদি জানত (এর গুনাহ কিংবা শাস্তি কতটা ভয়াবহ)— তাহলে নামাজরত ব্যক্তির সামনে…

বিস্তারিত

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

চেয়ারে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

মানুষের সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু ইসলাম চাপিয়ে দেয়নি। কারণ, ইসলাম সহজাত, জীবনঘনিষ্ঠ ও স্বভাবজাত ধর্ম। আল্লাহর দেওয়া সব বিধানের মধ্যে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অসুস্থ হলেও নামাজ আদায় করতে হয়। তবে সে ক্ষেত্রে ইসলাম কিছুটা অবকাশ দিয়েছে। ইসলাম অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। ভিন্ন পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়েছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে…

বিস্তারিত

জুমার দিন মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?

জুমার দিন মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ?

জুমার দিন যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে এই মৃত্যুর কি বিশেষ কোনো ফজিলত আছে? অনেককে বলতে শোনা যায়—  জুমার দিন মারা গেলে অনেক ফজিলত। সুতরাং এ দিন কেউ মৃত্যুবরণ করলেই বিনা হিসেবে জান্নাতে চলে যাবেন। তাদের এই কথার বাস্তবতা কতটুকু? শরিয়ত এই ব্যাপারে কী বলে? শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলে— জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় কিংবা সরাসরি বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যাবেন, এ মর্মে কোরআন-হাদিসের কোথাও কোনো দলিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে কবরের আজাব থেকে বাঁচার ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে…

বিস্তারিত

জুমার দিনের আমল ও ফজিলত

জুমার দিনের আমল ও ফজিলত

জুমা ও জুমাবারের গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতোই। জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। এ দিন ইসলামী ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এই দিনের বিশেষ কিছু আমল ও ফজিলত রয়েছে। আমলগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বিপুল সওয়াব দান করবেন। পাঠকদের জেনে রাখার সুবিধার্থে এখানে উল্লেখ করা হলো- পবিত্র কোরআনে জুমার কথা মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিন যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো এবং বেচাকেনা বন্ধ করো, এটা তোমাদের জন্য উত্তম,…

বিস্তারিত

জুমার দিন ইতিহাসে যা কিছু ঘটেছিল

জুমার দিন ইতিহাসে যা কিছু ঘটেছিল

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন শুক্রবার বা জুমার দিন। এই দিন জোহরের নামাজ আদায় করা হয় না। বরং এর বদলে জুমার নামাজ পড়া হয়। জুমার নামাজ দুই রাকাত। মুসলমানরা আল্লাহর ঘর মসজিদে সমবেত হয়ে খুতবা শোনে। এরপর দুই রাকাত জুমার ফরজ আদায় করে। জুমার দিনের গুরুত্ব শরিয়তে অনেক বেশি। এই দিন ইতিহাসে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্ম হয়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে সপ্তাহের এই দিন ছুটি থাকে। কোরআন-হাদিসে জুমার দিনের আমল সম্পর্কে নানা বর্ণনা রয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিন যা কিছু ঘটেছিল এবং ঘটবে তার অনেক বর্ণনা রয়েছে। তবে পাঠকদের জেনে রাখার…

বিস্তারিত

জুমার নামাজ পড়তে না পারলে যা করবেন

প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। পবিত্র কোরআনে সূরা আল জুমায় ইরশাদ করা হয়েছে, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ‘মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা: আল জুমা, আয়াত: ৯) জুমার নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ নামাজ ছেড়ে দিলে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি…

বিস্তারিত