ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

ফজরের ফরজ নামাজের পর সুন্নত পড়া যাবে কিনা

প্রশ্ন: ফজরের নামাজের জামাত শুরু হওয়ার পর কোনো মুসল্লি যদি মসজিদে এসে বারান্দায় অথবা মসজিদের পেছনের দিকে ফজরের সুন্নত নামাজ পড়তে চান তা কি তার জন্য জায়েজ হবে? কুরআন ও হাদিসের আলোকে মাসআলাটি জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ ব্যাপারে কোনো কোনো ব্যক্তি মত প্রকাশ করে থাকেন যে, ‘ফরজ নামাজের জন্য ইকামত দেওয়া হয়ে গেলে অন্য কোনো নামাজ বা সুন্নত নামাজ (বিশেষ করে ফজরের সুন্নত) সম্পূর্ণ হারাম, সুন্নত বিরোধী।’ উত্তর: কোন ব্যক্তি যদি ফজরের ইকামত চলাবস্থায় বা জামাত চলাবস্থায় মসজিদে আসে আর তার কাছে মনে হয় যে সুন্নত পড়ে অন্তত এক…

বিস্তারিত

নামাজে সতর খুলে গেলে কী করবেন?

নামাজে সতর খুলে গেলে কী করবেন?

নামাজ মুমিনের আবশ্যিক আদায়ের ইবাদত। আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের সবচেয়ে বড় উপায় ও মাধ্য হলো- নামাজ। তাই নামাজ আদায় করতে হয় সব নিয়ম-বিধি পালন করে। নামাজ আদায়ে কখনো অবহেলা করা যায় না। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য অনেক শর্ত রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। নারীদের মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া সব অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট-পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়লে তা আদায়…

বিস্তারিত

মাগরিব নামাজের সময় কখন শেষ হয়?

মাগরিব নামাজের সময় কখন শেষ হয়?

মাগরিবের নামাজে অনেক সময় তাড়াহুড়ো হয়ে যায়। দেখা যায় কোনো কাজ শেষ করে পড়ছি কিংবা পড়া শুরু করছি— করতে করতে দেরি হয়ে পড়ে। তখন কেউ কেউ বলেন যে, মাগরিবের নামাজ অল্প সময় থাকে। তাই এখন আর ওয়াক্ত নেই। তাই জেনে রাখা জরুরি যে, মাগরিবের নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে? এই প্রশ্নে উত্তর হলো- মাগরিবের নামাজের সময় সময় কিছুটা কম থাকে। তবে তা এশার সময় শুরুর পূর্ব পর্যন্ত। তাই মাগরিবের নামাজ ওয়াক্ত থাকতে যত তাড়াতাড়ি পড়া নেওয়া যায় উত্তম। অর্থাৎ সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। তাই তখনই যত তাড়াতাড়ি…

বিস্তারিত

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম

ভ্রমণ কিংবা সফর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মানবজীবনের সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষ যখন নিজের আবাসস্থলে থাকে, তখন পূর্ণাঙ্গ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণে গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা সুবিধা রয়েছে। তখন নামাজ সংক্ষেপ করাই ইসলামের বিধান। মূলত কোনো ব্যক্তি তার অবস্থানস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরে সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ শহর বা গ্রাম পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬) মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে— ‘তোমরা যখন জমিনে সফর…

বিস্তারিত

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে কি?

চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে আমার মনোযোগ একটু বেশি হয়। তাই আমি নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় সাধারণত চোখ বন্ধ করে রাখি। কিছুদিন আগে আমাকে চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়তে দেখে— আমার বড় ভাই বললেন, ‘নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখ কেন? এভাবে নামাজ পড়া ঠিক না।’ জানার বিষয় হলো- তিনি কি ঠিক বলেছেন? চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়লে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হবে? সঠিক মাসআলাটি জানতে চাই। এই প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার স্থানে রাখবে। বিনা প্রয়োজনে নামাজে চোখ বন্ধ করে রাখা মাকরূহ। প্রখ্যাত ফিকাহবিদ ও মুসলিম মনীষী ইবরাহিম…

বিস্তারিত

মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

মুসল্লিকে ইমামের সঙ্গে কি তাকবির বলতে হবে?

নামাজ সংক্রান্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা। প্রথমত হলো- মুক্তাদি (যিনি ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করেন এবং ইমামকে অনুসরণ করেন।) ইমামের সঙ্গে নামাজের প্রতিটি ওঠা-বসায় কি তাকবিরগুলো বলতে হবে? দ্বিতীয়ত মাসবুক ব্যক্তি (যিনি ইমামকে প্রথম রাকাত শেষ হওয়ার পর যেকোনো রাকাতে বা অবস্থায় নামাজে পেয়েছেন।) যদি ইমামকে দ্বিতীয় রাকাতে পেয়ে থাকেন, তাহলে কি ইমামের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে তাকেও তাশাহহুদ পড়তে হবে? আর এমন অবস্থায় তার করণীয় কী? প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো- হ্যাঁ, মুক্তাদি ইমামের সঙ্গে প্রত্যেক ওঠা-বসায় তাকবির বলবে। এ তাকবিরগুলো বলা মুক্তাদির জন্যও সুন্নত (আর তাকবিরে তাহরিমা ফরজ)। আবু হুরায়রা (রা.)…

বিস্তারিত

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

কাজের কারণে নামাজ কাজা করা যাবে কি?

এক ব্যক্তি কাজের কারণে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারেন না। পরে ঘরে এসে তা কাজা পড়েন। মানে সময়ের পরে তিনি আদায় করেন। এটা কতটুকু শরিয়তসম্মত? উত্তর : কাজা হলো- এটা হচ্ছে এক্সিডেন্ট। হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনার কারণে ববা অসুবিধার কারণে যথা সময়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে— সেটার ব্যবস্থা হলো কাজা। কিন্তু নিয়মিতভাবে যদি এটাকে অভ্যাস করা হয় অথবা নিয়মিতভাবে আমি এটাকে যদি অভ্যাস এবং দৈনিক রুটিনে রূপান্তর করি, সেটা কোনোভাবেই শরিয়তে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাকে যেকোনো মূল্যেই অজুর ব্যবস্থা রাখতে হবে। অজু থাকতে হবে এবং রাখতে চেষ্টা করব। আর কাজের ক্ষেত্রে…

বিস্তারিত

ব্যথার কারণে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

ব্যথার কারণে বসে নামাজ পড়া যাবে কি?

দাঁড়াতে ও সিজদা করতে সক্ষম— এমন ব্যক্তির জন্য নামাজে কিয়াম বা দাঁড়ানো ফরজ। তবে ইসলাম কারও ওপর সাধ্যের বাইরে কিছু চাপিয়ে দেয়নি। বরং অসুস্থের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে। নামাজ আদায়ের ভিন্ন পদ্ধতি রেখেছে। তবে এর জন্য বিশেষ নীতিমালা রয়েছে। জেনে রাখা উচিত যে, দাঁড়াতে বা সিজদা আদায়ে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও যদি কেউ ফরজ-ওয়াজিব নামাজ বসে আদায় করে, তবে নামাজের ফরজ ছেড়ে দেওয়ার কারণে তার নামাজ হবে না। নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। (দুররে মুখতার, জাকারিয়া বুক ডিপো : ২/১৩২) শরীরে বা কোনো অঙ্গে ব্যথা হলে নামাজ যদি অসহনীয় ও অস্বাভাবিক ব্যথা…

বিস্তারিত

জুমআ’র নামাজ ও উহার আদব মুফতী মুহা : আবু বকর বিন ফারুক।।

মহান আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মাদিয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত বলে অধিষ্ঠিত করেছেন এবং তাদের জন্য সপ্তাহের মধ্যে জুম’আর দিন কে সায়্যিদুল আইয়াম হিসেবে নির্ধারণ করেছেন যা ইয়াহুদীদের শনিবার এবং খ্রিষ্টানদের রবিবার চেয়েও উত্তম ও উৎকৃষ্ট। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন অনুবাদঃ ওহে মুমিনগণ ! যখন জুময়ার দিন জুময়ার নামাযের জন্য আহবান করা হয় তখন তােমরা আল্লাহর জিকরের দিকে ধাবিত হও এবং ব্যবসা বাণিজ্য পরিত্যাগ কর । ইহাই তােমাদের জন্য অতি উত্তম কাজ , যদি তােমরা জান। (আল- কুরআন) হযরত আনাস ( রাঃ ) হতে বর্ণিত আছে যে , হযরত রাসূল মাকবুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া…

বিস্তারিত